হাসপাতালের বেডে শুয়ে অত্যন্ত আতঙ্কিত অবস্থায় ওই নাবালক পুলিশকে জানায়, পড়ানোর সময় দরজা ভেজানো ছিল। খুনি এসে দরজা খুলেই প্রথমে তার উপর হামলা চালায়। খুনির পরনে ছিল লাল-সুবজ রঙের টি শার্ট ও জিনসের প্যান্ট। মুখের অংশ ছিল বড় রুমাল দিয়ে বাঁধা। মুহূর্তের মধ্যে ছেলেটির মনে হয়, খুনি তার বাবার দিকের এক আত্মীয়। সেই সূত্র ধরে রাতেই ওই যুবককে পুলিশ ধরে বড়তলা থানায় নিয়ে এসে জেরা করে। কিন্তু জেরার পর মোবাইলের টাওয়ার দেখে ধন্দে পড়ে পুলিশ। খুনের সময় যে জায়গায় যুবক ছিলেন বলে দাবি করেন, সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যুবক সত্যি কথাই বলছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বরং মীনাক্ষীদের গলির বাইরে থেকে শুরু করে বিধান সরণির কুড়িটির উপর সিসিটিভির ফুটেজ ঘেঁটে যুবককে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। কিন্তু বিধান সরণির পর কোনও গলি দিয়ে পালায় খুনি।
আশপাশের সব ডাস্টবিন ও নর্দমা ঘেঁটেও অস্ত্রটি উদ্ধার হয়নি। পুলিশের মতে, রক্তাক্ত অস্ত্রটি খুনি সঙ্গে নিয়েই পালায়। এদিন সকালে ফের খুনির ব্যাপারে খোঁজখবর করতে গিয়ে বড়তলা থানার আধিকারিকরা মীনাক্ষীর বাপের বাড়ির সম্পত্তি যে প্রোমোটিং করার চেষ্টা হচ্ছিল, তা জানতে পারেন। এ ছাড়াও বাড়িতে মীনাক্ষীদের এক জ্ঞাতির পোষ্য কুকুরটিও না চেঁচানোর কারণে পুলিশের ধারণা হয়, খুনি তাঁদের পরিচিত। যেহেতু নাবালক ছাত্রটি জানিয়েছে, খুনি অনেকটা দেখতে তার এক দাদার মতো, তাই মীনাক্ষীর বাপের বাড়ির কোনও আত্মীয় এই খুনের পিছনে রয়েছে কি না, পুলিশ সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছে। সেই ক্ষেত্রে প্রোমোটিংয়ের টাকা না পেয়েই মীনাক্ষির উপর ক্ষোভ জমতে পারে খুনির। আর ‘সফট টার্গেট’ হিসাবে তাঁর ছেলেকেই টার্গেট করে কোনও কথা না বলেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে সে। এই সন্দেহ যাচাই করতে মীনাক্ষীর বাপের বাড়ির লোকেদেরও জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।