পটনা: ফের রেল দুর্ঘটনা। বুধবার রাতে বিহারের বক্সার জেলার রঘুনাথপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হল ১২৫০৬ আনন্দ বিহার-কামাখ্যা নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসের তিন থেকে চারটি বগি। দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশন থেকে ট্রেনটি অসমের গুয়াহাটির কামাখ্যায় যাচ্ছিল। চার জনের মৃত্যু হয়েছে ওই ট্রেন দুর্ঘটনায়। আর বড় দুর্ঘটনা সত্ত্বেও মৃত্যুর সংখ্যা কম থাকার কারণ হিসেবে উঠে আসছে এলএইচবি কোচ।
এই কোচের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট হল এই কোচ অ্যান্টি রোল, অ্যান্টি কোলাপ্স এবং অ্যান্টি টেলিস্কোপিক। মাইল্ড স্টিল দিয়ে তৈরি হওয়ায় আইসিএফের থেকে ওজনে হাল্কা এই ধরনের কোচ। রাজধানী-সহ অধিকাংশ প্রথম সারির ট্রেনে এখন এলএইচবি কোচ ব্যবহৃত হয়। এলএইচবি-র পুরো নাম লিঙ্ক হফম্যান
এই ধরনের কোচ আইসিএফের থেকে অনেক বেশি উন্নত। এই ধরনের কামরায় ট্রেন যাত্রা অনেক আরামদায়ক। সঙ্গে ডিস্ক ব্রেক থাকায় তা দ্রুত থামতে সক্ষম।এলএইচবি কোচ বিশিষ্ট এক্সপ্রেস ট্রেন আইসিএফের তুলনায় দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম। আইসিএফের তুলনায় এই কোচের ঝাঁকুনি অনেক কম। আইসিএফ কোচে বসে থাকলে ট্রেন চলার সময় অনেক বেশি ঝাঁকুনি অনুভব হত।
কিন্তু এলএইচবি-র ক্ষেত্রে তা অনেক কম। পাশাপাশি ট্রেন চলার সময় এই ধরনের কোচে আওয়াজও হয় কম। রাজধানী-সহ অধিকাংশ প্রথম সারির ট্রেনে এখন এলএইচবি কোচ ব্যবহৃত হয়। এলএইচবি-র পুরো নাম লিঙ্ক হফম্যান বুশ। এই ধরনের কোচ আইসিএফের থেকে অনেক বেশি উন্নত। এই ধরনের কামরায় ট্রেন যাত্রা অনেক আরামদায়ক।এর পাশাপাশি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য এলএইচবি কোচ দুর্ঘটনার সময় কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতীতে বিভিন্ন ট্রেন দুর্ঘটনার সময় আমরা দেখেছি ট্রেনের এক কামরার উপর একটি কামরা চেপে যেতে।
মূলত আইসিএফ কোচে ট্রেনে দুর্ঘটনার সময় এই ঘটনা দেখা যায়। এর জেরে ক্ষতি হয় বেশি। প্রাণহানির আশঙ্কাও বাড়ে। কিন্তু বিশেষ এলএইচবি কোচে এই সমস্যা দেখা যায় না। এই কোচের ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও তা আড়াআড়ি ভাবে লাইনচ্যুত হয়। এর জেরে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা কিছুটা হলেও কম হয়। দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকাজও সহজ হয়। এখনও যে সমস্ত ট্রেনে আইসিএফ কোচ রয়ে গিয়েছে আগামী দিনে সেগুলির পরিবর্তে এলএইচবি কোচ ব্যবহার করবে রেল।ইতিমধ্যেই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের একাধিক কোচ এল এইচ বি কোচ করে দেওয়া হয়েছে।