বর্ষবরণের রাতে বেপরোয়া সফর শহরে, বিধি লঙ্ঘনে গ্রেফতার ৪৫৭




কলকাতা:  বড়দিন এবং বছর শেষের উত্‍সব উপলক্ষ্যে আগে থেকেই শহরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছিল। যাতে কোনওভাবেই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই মতই নজরদারি চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। আর এবার শহরে বর্ষবরণের রাতে ট্রাফিকবিধি লঙ্ঘনে মোট ৪৫৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বর্ষবরণের রাতে বেপরোয়া সফর শহরে

ট্রাফিকবিধি লঙ্ঘনে মোট ১ হাজার ৫৭০ টি মামলা কলকাতা পুলিশের তরফে দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে বিনা হেলমেটে বাইক চালানোর অভিযোগ রয়েছে ৫৫৭ টি। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য ৩১১ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। মদ্যপান করে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য ২৮৭ টি এবং অন্যান্য আইন লঙ্ঘন করার জন্য ১৯৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। 

ঝুঁকি নিতে রাজি নয়..

মূলত বছর বছরই উৎসবের আবহে অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেন। হেলমেট না পরার ইস্যু তো রয়েছেই, সঙ্গে মদ্যপান করে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ঘটনা ভুরিভুরি। আর যার জেরে অতীতে কম দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রাণও হারিয়েছে অনেকে। যার জন্য এবার মোটেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ট্রাফিক পুলিশ। কড়া হাতে আইন লঙ্ঘনকারীদের আটকেছে পুলিশ প্রশাসন।

 ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে বাধা দেওয়ায়, আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ

গতমাসে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে বাধা দেওয়ায়, আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশকে সজোরে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছিল বেপরোয়া বাইক চালকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর এসেছিল, রাতে এজেসি বোস উড়ালপুলে দুই চাকার যানের ওঠা নিষিদ্ধ। নিয়ম ভেঙে ভোর ৪টে নাগাদ SSKM-এর দিক থেকে উড়ালপুলে উঠে পড়েছিল একটি বাইক। কর্তব্যরত ট্রাফিক ASI আনারুল ইসলাম বাধা দেওয়ায়, তাঁকে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করেছিল দুই বাইক আরোহী। গুরুতর আহত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দুই বাইক আরোহীকে আটক করেছিল হেস্টিংস থানার পুলিশ।

বড়দিনের আগে কলকাতায় রাতভর অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ

প্রসঙ্গত, বড়দিনের আগে কলকাতায় রাতভর অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। বেপরোয়া গাড়ি মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, হেলমেট ছাড়া বা ২ জনের বেশি বাইকে চড়া--সহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পুলিশের তরফে। ট্রাফিক পুলিশের তরফে ৪৫৯টি মামলা রুজু হয়েছিল।  নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল যান চলাচল ।   




Post a Comment

Previous Post Next Post