খবর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিও স্টেডিয়ামে ফাইনাল শুরুর আগে ট্রফি হাতে মাঠে ঢুকছেন জর্জিও চিয়েল্লিনি। গতবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন দল ইটালির তৎকালীন অধিনায়ক। ঠিক সেই সময়ে কী ভাবছিলেন ইংল্যান্ডের বুকায়ো সাকারা? গত ইউরোয় তাঁর জার্সি টেনে ধরার সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আর শেষে টাইব্রেকারে হার। এবার ফের সুযোগ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের। আর বিপক্ষে এমন একটা দল যাদের ফাইনালে রেকর্ড দুরন্ত। এবারও তারুণ্যের মাধুর্যে মাঠে ফুল ফুটিয়েছেন স্পেনের ইয়ামাল-নিকোরা। আর ফাইনালেও জয় হল স্প্যানিশ আর্মাডার। ট্রফিখরা কাটল না হ্যারি কেনের। গ্যারেথ সাউথগেটের মগজাস্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন।
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অত্যন্ত ম্যাড়মেড়ে ফুটবল খেলেছেন বেলিংহ্যামরা। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ছাড়া কোনও ম্যাচেই মন মাতাতে পারেনি সাউথগেটের ছেলেরা। যদিও জয় আটকে থাকেনি। অতিরিক্ত ডিফেন্স নিয়ে যে সমালোচনার ঝড় বইছে, সেটাই প্রথমার্ধে শক্তি হল ইংল্যান্ডের জন্য। দুই উইংয়ে নিকো আর ইয়ামালের গতিকে রুখতে তৈরি ছিলেন শক্তিশালী দুই সাইডব্যাক লুক শ আর কাইল ওয়াকার। নিচে নেমে সাহায্য করছিলেন সাকা আর বেলিংহ্যামও। আর মাঝমাঠে ফাবিয়ান রুইজ- দানি ওলমোকে রোখার দায়িত্বে ছিলেন ১৯ বছরের তরুণ কোবি মেইনু। নিজেরা সেভাবে আক্রমণে না উঠতে পারলেও, স্পেনের ছন্দ নষ্ট করে দিল ইংল্যান্ড। মাঝমাঠ থেকে ডিফেন্সের মধ্যে অসংখ্য পায়ের জঙ্গল ভেদ করতে পারলেন না রদ্রিরা। বিচ্ছিন্ন কিছু আক্রমণে থেমে গেল নিকোদের দৌড়। তারই মধ্যে প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন। কিন্তু তাঁর বাঁ পায়ের দুর্বল শট আটকে দেন স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমন।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আঘাত। নেপথ্যে সেই নিকো-ইয়ামাল জুটি। তখনও ভালো করে গুছিয়ে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড রক্ষণ। বাঁদিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে নিকোকে সাজিয়ে দেন ইয়ামাল। সেই সময় জায়গাতেই ছিলেন না কাইল ওয়াকার। নিকোর জোরালো শট পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়। গোলের পরই যেন চেনা ছন্দে ফিরল স্পেন। চোট পাওয়া রড্রির জায়গায় নামলেন জুবিমেন্দি। আর একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেলেন ওলমোরা। তিনি সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে, তখনই দুই গোলে এগিয়ে যেত স্পেন। গোল মিস করেন মোরাতাও।