দেওরের সঙ্গে প্রেমে হাবুডুবু, ঘুমের বড়ি-ইলেকট্রিক শক দিয়ে স্বামীকে খুন গৃহবধূর!


দেওয়ের সঙ্গে প্রেম। নতুন জীবন শুরু করতে স্বামীকে খুনের ছক কষেছিলেন স্ত্রী, অভিযোগ এমনটাই। তদন্তকারীদের সন্দেহ, প্রথমে স্বামীর খাবারে ১৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন স্ত্রী। কিন্তু, তার পরেও স্বামীর মৃত্যু না হওয়ায় দেওরের সঙ্গে মিলে তাঁকে ইলেকট্রিক শক দেন। ঘটনা দিল্লির। মৃত যুবকের নাম করণ দেব (৩৬)। ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা এবং খুড়তুতো ভাই রাহুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছিল ১৩ জুলাই। সুস্মিতা তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ির কাছে দাবি করেছিলেন, ইলেকট্রিক শক লেগে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন স্বামী। তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা করণকে পশ্চিম দিল্লির জনকপুরি এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন ওই দিন সকালেই। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যু সন্দেহে হাসপাতালের তরফেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রথমে করণের পরিবার ময়নাতদন্তের জন্য রাজি ছিলেন না। তাঁরা সুস্মিতার কথায় বিশ্বাস করেছিলেন। যদিও পুলিশ জানায়, এ ধরনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত বাধ্যতামূলক।

এ দিকে ১৬ জুলাই করণের ছোট ভাই কুণাল বৌদি সুস্মিতা এবং খুড়তুতো ভাই রাহুলের একটি চ্যাট হাতে পান। সেই মেসেজে করণকে খুনের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন ওই দু’জন। সেই চ্যাটই বদলে দেয় তদন্তের অভিমুখ। জানা গিয়েছে, ওই চ্যাটে ১২ জুলাই রাতে সুস্মিতা করণের খাবারে ১৫টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন রাহুলকে। কিন্তু ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খেয়েও করণের মৃত্যু না হওয়ায় চিন্তায় পড়ে যান সুস্মিতা।

সেই সময়ে রাহুলই চ্যাটটিতে তাঁকে প্রস্তাব দেন কুণালের হাত টেপ দিয়ে বেঁধে শক দেওয়ার। সুস্মিতা রাহুলকে বাড়িতে ডেকে নেন। বলেন, ‘ওর নিঃশ্বাস খুব ধীরে ধীরে পড়ছে। ওর মুখ খুলতে পারছি না ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর জন্য। তুমি এলে হয়তো ওকে খাওয়াতে পারব।’ পুলিশের সন্দেহ, এর পরে রাহুল করণের বাড়িতে যান এবং সুস্মিতার সঙ্গে মিলে তাঁকে শক দেন। করণের মৃত্যুর পরে শ্বশুর, শাশুড়ির কাছে কান্না জড়ানো গলায় সুস্মিতা জানান, শক লেগে করণ অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন।

১৬ জুলাই করণের ভাই ওই চ্যাট পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুস্মিতা এবং রাহুলের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে করণের প্রেক্ষিতে। ইতিমধ্যেই তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে দু’জনেই নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। সুস্মিতার আরও দাবি, করণ তাঁকে নিয়মিত হেনস্থা করতেন, মারধরও করতেন।



Post a Comment

Previous Post Next Post