২১ শে জুলাই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শহর কলকাতায় বিভিন্ন রাস্তায় যানজটের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।


বন্ধুদের সঙ্গে গাড়ির ‘রেস’। যে তরুণ গাড়ি নিয়ে ওই প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, তিনি পুলিশের এক অফিসারের ছেলে। তাঁর গাড়ির ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। গুজরাতের ভাবনগর এলাকার ঘটনা। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও ধরা পড়েছে রেসের গাড়ির ধাক্কার ছবি।

তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে জেনেও নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন অনিরুদ্ধ সিং বাজুভা গোহিল নামে ওই পুলিশ অফিসার। তিনি ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর। ছেলে হর্ষরাজ সিং গোহিলকে মারধর করার পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে হর্ষরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় ওই ঘটনা ঘটেছে ভাবনগরের কালিয়াবিদ এলাকায়। বিকাল ৪টে নাগাদ ওই এলাকার একটি ব্যস্ত রাস্তায় দামি গাড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন হর্ষরাজ এবং তাঁর এক বন্ধু। হর্সরাজ একটি ক্রেটা (Creta) এবং তাঁর বন্ধু লাল রঙের ব্রেজ়া (Brezza) গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

পুলিশের অভিযোগ, হর্ষরাজ জনবহুল ব্যস্ত রাস্তায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দ্রুতগতিতে থাকার কারণে নিমেষে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান হর্ষ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তাঁর গাড়ির ধাক্কায় মারা যান দুই পথচারী। গাড়িটি এক স্কুটার আরোহীকেও ধাক্কা মারে। ওই গাড়ির ধাক্কায় আহত হন আরও দু’জন। সেখানে থাকা আরও কয়েকটি গাড়িও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় ভার্গব ভাট (৩০) এবং চম্বাবেন বাচানি (৬৫) নামের দু’জনের মৃত্যু হয়। গত বছরই বিয়ে করেন ভার্গব। তিনি সেখানকার একটি বেসরকারি কারখানার কাজ করতেন।

জানা গিয়েছে, জোরে গাড়ি চালাতে পছন্দ করতেন হর্ষরাজ। প্রায় দিনই তিনি বন্ধুদের সঙ্গে এই রকম প্রতিযোগিতা করতেন।


Post a Comment

Previous Post Next Post