‘সিনিয়র ভুল করলে, তাঁকেও তো শেখাতে হবে...’ জোজোর অভিযোগের পাল্টা জবাব পৌষালীর


সম্প্রতি টেলিভিশন শো “গান্ধারী”তে ঘটে যাওয়া এক বিতর্কিত ঘটনার কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে জোজো এবং পৌষালী। শোটি নিয়ে যেভাবে মঞ্চে কিছু তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে, যা আরও বিস্ময়ের বিষয়, তা হলো এরই মধ্যে একের পর এক অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের চক্র তৈরি হয়েছে, যা খোলসা করেছে তাদের ব্যক্তিগত মতামত এবং সম্পর্কের ভেতরকার দ্বন্দ্ব।

জোজো এক অনুষ্ঠানে দাবি করেছিলেন যে, তার সিনিয়র – পৌষালী, শো-এর চলাকালীন সময়ে কিছু ভুল করেছেন, যা তার পক্ষে সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। জোজোর অভিযোগ ছিল যে, অনেক সময় পৌষালী তার নির্দেশনা ঠিকমতো দেননি, এবং এমন কিছু পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যেখানে প্রোগ্রামের ফলাফল একদমই প্রত্যাশিত ছিল না।

তবে, পৌষালী এই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি সরাসরি জোজোর পাল্টা জবাবে বলেন, "সিনিয়র ভুল করলে, তাঁকেও তো শেখাতে হবে..."। পৌষালী বলছেন, একজন সিনিয়র হিসেবে তার দায়িত্ব শুধুমাত্র কাজের দিকনির্দেশনা দেওয়া নয়, বরং প্রোগ্রামটিকে আরও উন্নত করার জন্য দলগতভাবে কাজ করারও। তিনি আরও জানান, কখনও কখনও নতুনদের একাধিক ভুল করা স্বাভাবিক, কিন্তু সেগুলোকে শুধরে নেওয়া এবং শেখানোও একজন সিনিয়রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

পৌষালী এর মাধ্যমে এমনটা বলতে চেয়েছেন যে, ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য বিরোধিতা বা অভিযোগের প্রয়োজন নেই, বরং এটি এক ধরনের শিক্ষণীয় প্রক্রিয়া, যেখানে সিনিয়ররা নতুনদের ভুলগুলিকে ঠিক করার জন্য সাহায্য করেন।

এদিকে, জোজো এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান, “যদি সিনিয়রই ভুল করেন, তবে তাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা উচিত। ভুল শুধরে দিতে চাইলে, এটা অবশ্যই শ্রদ্ধার সঙ্গে হওয়া উচিত।” তার মতে, কোনো ভুলের জন্য শুধু নতুনদের দোষারোপ করলে তা দলগত পরিবেশে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়াও, শো-এর অংশগ্রহণকারীরা এবং দর্শকরা এই বিতর্কের মাঝে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, শো-এর সাফল্য এবং দলগত পরিবেশের জন্য সবার দায়িত্ব নেওয়া উচিত এবং একে অপরের ভুলগুলো সহানুভূতির সাথে মোকাবিলা করা উচিত।

এই পুরো ঘটনার মধ্যে, একটাই কথা পরিষ্কার – যেভাবে সিনিয়র এবং জুনিয়রদের সম্পর্ক গড়ে উঠবে, সেটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ এবং দলের সাফল্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলে।

Post a Comment

Previous Post Next Post