কোচবিহারের চান্দামারির সভা থেকে বিএসএফকে নিশানা করলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, তাঁর কাছে খবর আছে পঞ্চায়েত ভোটে সীমান্ত এলাকায় ভয় দেখাতে পারে বাহিনী। এমন ঘটনা দেখলে অভিযোগ জানাতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, স্বজনহারাদের পাশে আছে তৃণমূল।
সভা থেকে তিনি বলেন, ‘গুলি করারটা যেন বিএসএফ-এর অধিকারের পর্যায়ে পড়ে গিয়েছে। কোচিবিহারে গুলি করে মেরেছে। শীতলকুচিতে ৪জনকে গুলি করে মরেছে। খবর আছে, পঞ্চায়েত ভোট সময় ভয় দেখাতে পারে। বলবে তুলে নেব, ইডি-সিবিআই-এর ভয় দেখাতে পারে। ভয় পাবেন না। ভয় দেখালে আমাদের জানান।'
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে। তাই ওরা কিছু করতে পারবেন না।’ এ প্রসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন সম্প্রতি বিএসএফ তার কাজের এক্তিয়ার বাড়িয়েছে। আগে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার ছিল। তা বাড়িয়ে বর্ডারের পর ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে।
এদিন মমতা মঞ্চে বিএসএফের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ডেকে নেন। তাঁদের সামনে রেখেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আজকে ওঁদের পরিবার আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। এর বদলা, আপনার একটা পঞ্চায়েতকে তৃণমূলকে তিনটে ভোটে দিতে হবে। তার কারণ যাতে আপানাদের পরিবার কোনদিন খালি না হয়ে যায় এটা লক্ষ্য রাখতে হবে।’
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর রাখবে দল। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন বিধি চলছে তাই কোন আশ্বাস দিচ্ছি না।’ তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘কোথাও যদি বিএসএফ গুলি চালায় তবে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। এফআইআর করতে হবে।’
বিএসএফ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেও নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘এলাকার মানুষ বিএসএফের গুলি খাচ্ছে আর উনি আফ্রিকা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
কোচবিহার চান্দামারি সভা থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী। সীমান্ত সংলগ্ন এই জেলায় যেহেতু একাধিক বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা রয়েছে। তাই নিহতদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়েই তাঁর প্রচার চালালেন তৃণমূল নেত্রী।