কখনও যাত্রীদের শরীরের উপর ঢলে পড়তে, কখনও জোর করে টাকা চাওয়ার প্রায়শই অভিযোগ উঠেছে বৃহন্নলাদের একাংশের বিরুদ্ধে। দূরপাল্লার ট্রেনে তাঁদের দাপাদাপি বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে মাঝেমধ্যেই। কখনও-কখনও টাকা না পেয়ে আবার অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেও দেখা যায় তাঁদের। বৃহন্নলাদের একাংশের এমন তাণ্ডব রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলল আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশন। ট্রেনে বৃহন্নলাদের ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করল রেল। শুধু তাই নয়, বৈধ টিকিট ছাড়া আলিপুরদুয়ার রেল ডিভিশনের অন্তর্গত এলাকায় কোনও ট্রেনে চড়তে পারবেন না তাঁরা।
শনিবার আলিপুরদুয়ার ডিআরএম অফিসে একটি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স, জেনারেল রেল পুলিশ, বন বিভাগ ও আধিকারিক দফতরের আধিকারিকরা। সেখানে রেলেকে ব্যবহার করে যে ধরনের অপরাধমূলক কাজ কর্ম করা হয় সেই সকল বিষয় আলোচিত হয়। তখনই বৃহন্নলাদের নির্যাতনের প্রসঙ্গ ওঠে।
অভিযোগ ওঠে, একাধিকবার ট্রেনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা বিভিন্ন সময় জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, অনেকেই আবার ভুয়ো বৃহন্নলা সেজে ট্রেনে চুরি ও ভিক্ষাবৃত্তির নামে নির্যাতন চালান। বহু পরিবারকে এই সমস্যায় পড়তে হয়। এরপরই তৎপর হয় রেল।
বৈধ টিকিট ছাড়া আলিপুর রেল ডিভিশন অন্তর্গত কোনও ট্রেনে চড়তে পারবে না বৃহন্নলারা। ধরা পড়লে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। আর রেলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন যাত্রীরা।