রবি দুপুরেই নতুন চ্যালেঞ্জ রাহুলের, মণিপুর থেকে শুরু হওয়া ন্যায়যাত্রা কোন পথে এগোবে?


খবর বাংলা সংবাদ ডিজিটাল :- মণিপুরের থৌবাল থেকে শুরু হচ্ছে রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোরো ন্যায়' যাত্রা। লোকসভা ভোটের আগে রাহুলের এই যাত্রাকে ঘিরে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্দীপনা। লোকসভা ভোটের ন্যায় যাত্রা কংগ্রেসের কাছে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে ময়নাতদন্ত।

রবিবার থেকে শুরু ন্যায় যাত্রা
যাত্রার অনুমতি নিয়ে বিস্তর দড়ি টানাটানির পর মণিপুরের থৌবাল থেকে সূচনা হয়েছে রাহুরের 'ভারত জোরো ন্যায়' যাত্রা। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানভা নির্বাচনে বিপর্যয় হয়েছে কংগ্রেসের। তেলঙ্গানা দখল করলেও, হারাতে হয়েছে ছত্তিশগড় এবং রাজস্থান। মধ্যপ্রদেশে হয়েছে ব্যর্থ। এমন পরিস্থিতিতে তলানিতে ঠেকে যাওয়া কর্মীদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে রাহুলের এই যাত্রা বলে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে তামিলনাড়ু থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত 'ভারত জোড়ো' যাত্রার ডাক দিয়েছিলেন রাহুল। এর সুফলও পেয়েছিল কংগ্রেস। কর্নাটক এবং হিমাচলপ্রদেশ নিজেদের দখলে আনতে পেরেছিল রাহুলের দল। লোকসভা ভোটের আগে এবার রাহুলের দ্বিতীয় দফার যাত্রা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। যদিও রাহুলের এবারের যাত্রাকে রাজনৈতিক বলতে নারাজ কংগ্রেস । সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় এই যাত্রা বলে জানিয়েছেন এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ।

রাহুলের ন্যায় যাত্রা নিয়ে প্রথম থেকে বিতর্ক
'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' রুট নিয়ে প্রথম থেকে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। মণিপুরের ইম্ফল থেকে যাত্রার সূচনা করতে চয়েছিল কংগ্রেস। কারণ, মণিপুর নিয়ে বেশ চাপে কেন্দ্র। এখনও সেখানে হিংসা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যটি থেকেই নরেন্দ্র মোদী বিরোধিতার অস্ত্রে রাহুল যে শাণ দিতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট। প্রথমে না দিলেও, পরে চাপে পড়ে থৌবাল থেকে যাত্রার অনুমতি দিয়েছে বীরেণ সিং সরকার। শুধু হিন্দু নয়, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির খ্রিস্টানদের মন জয় করতেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।

এবারের যাত্রা এমন কতগুলি রাজ্যের উপর দিয়ে যাবে, যেখানে আসন রফা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে বিরোধ। এই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ। যোগী রাজ্যে এসপি-র সঙ্গে আসন রফা নিয়ে তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব। উত্তরপ্রদেশে ২৩টি জেলায় ১১ দিন ধরে হবে ন্যায় যাত্রা। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে ২-এর বেশি আসন ছাড়তে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রার মাধ্যমে দুই রাজ্যে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা কতটুকু, তা ধারণা মিলবে বলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন।

কংগ্রেসের রক্ষাকর্তা রাহুল
১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে শুরু হওয়া ন্যায় যাত্রা শেষ হবে ২০ মার্চ মুম্বইয়ে। ১৫টি রাজ্যে উপর দিয়ে যাবে যাত্রা। ৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার যাত্রা ১১০টি জেলার ১০০টি লোকসভা আসন কভার করবে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ১১ দিনে ২০টি জেলায় ১ হাজার ৭৪ কিলোমিটার পথযাত্রা করবেন রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি কী পারবেন কংগ্রেসের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠতে? উত্তর পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post