তারাপীঠে উপচে পড়া ভিড়: বাংলা বছরের প্রথম দিন নতুন পোশাক পরে পুজো দিতে এসেছেন অনেকেই। এদিন খাতা পুজো দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন অনেক ব্যবসায়ী। পয়লা বৈশাখের দিন তাই ব্যবসায়ীরা হালখাতার পুজো দিচ্ছেন তারাপীঠে। নতুন বছরের জন্য শুভকামনা নিয়ে মায়ের কাছে পুজো দিচ্ছেন তাঁরা। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি ও পুলিশের উদ্যোগে। মন্দির চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড।
শুভেচ্ছা-মিষ্টিমুখ-গান আর জমজমাট আড্ডার মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সবাই। নববর্ষের আবাহনে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। নতুন পোশাক, গঙ্গাস্নান, দোকানে দোকানে হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। ১৪৩১-এর প্রথম দিন শুধু তারাপীঠ নয়, এরাজ্যের অন্য়ান্য মন্দিরেও সকাল থেকে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালীবাড়ি থেকে তারাপীঠ, মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন। সারা বছর ভাল কাটার প্রার্থনা নিয়েই ভোর থেকে ভিড় উপচে পড়ছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পুণ্যার্থীদের। ব্যবসায়ীরাও হাজির হালখাতা নিয়ে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে তারকেশ্বর মন্দিরেও ভক্ত সমাগম হয়েছে। লক্ষ্মী, গণেশ-সহ হালকখাতার পুজো দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শিবের মাথায় জল ঢালতে অনেকেই এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে।
বীরভূমের কঙ্কালিতলার সতীপীঠে নতুন বছরের প্রথম দিনে পুজো দেওয়ার ভিড় চোখে পড়ার মতো। শুধু বোলপুর নয় আশেপাশের প্রচুর পুণ্যার্থীরা বছরের প্রথম দিন কঙ্কালিতলায় পুজো দিতে এসেছেন। পরিবারের মঙ্গল কামনায় ও ব্যবসায়ীরা হালখাতার নামে পুজো দিতে এসেছেন কঙ্কালিতলায়। মন্দির চত্বরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।