’ওয়াটার বেল’ চালু বাঁকুড়ার স্কুলে
বাঁকুড়া গার্লস প্রাইমারী স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, 'সকাল ৭ টা ৪৫ এবং ৯ টা ১০ মিনিটে বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ছাত্রীরা নিজেদের সঙ্গে থাকা জলের বোতল থেকে জল খাবে। আর এই বিষয়টি দেখভাল করবেন স্কুলের শিক্ষকরা।' এবিষয়ে বাঁকুড়া গার্লস প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অনুভা মাহাতো বলেন, 'এই গরমের দিন গুলিতে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর এই অসুস্থতার পিছনে অন্যতম মূল কারণ শরীরে জলসংকট। আর সেকারণেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের তদারকিতে ছাত্রীরা জলপান করবে', বলে তিনি জানান।
’ওয়াটার বেল’ চালু দেশের একাধিক রাজ্যে
উল্লেখ্য, দেশের একাধিক রাজ্যে অনেক আগেই ’ওয়াটার বেল’ চালু হয়েছে। বেঙ্গালুরু, কেরল, ওড়িশার স্কুলগুলি ইতিমধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে চালু করেছে 'ওয়াটার বেল।' বিশেষ সময়ে ঘণ্টা বাজবে। তীব্র প্রবাহের মাঝে হাইড্রেটেট থাকতে জল খাওয়ানোর কথা মনে করানো হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে স্কুল পড়ুয়া জল পান করবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেরলে ’ওয়াটার বেল’ চালু করেছিলেন ওই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এরপর একই পদ্ধতি চালু হয় ওড়িশার স্কুলেও।
মূলত সঠিক সময় অন্তর জল না খেলে, একদিকে যেমন এই গরমে বেঁচে থাকা দায় হবে। ডিহাইড্রেশনের জেরে যেকোনও বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়। পাশাপাশি জল কম খেলে কিডনির উপরেও প্রভাব ফেলবে। তাই এই মুহূর্তে পানীয় জলের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।