খবর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : মাঝরাত থেকে লাইন। জোটেনি খাবার, পর্যাপ্ত জলও। চড়া রোদ মাথায় নিয়ে প্রাণপণ দৌড়। সবটাই একটা সরকারি চাকরির আশায়। বেকারত্বের অসীম জ্বালা মেটানোর আশায়। আর সেই আশাতেই চলে গেল আটটা তাজা প্রাণ। ঝাড়খণ্ডের কনস্টেবল নিয়োগের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এমনই অভিযোগ সেরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “শনিবার রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ৭টি কেন্দ্রে। রাঁচি, গিরিডি, হাজারিবাগ, পালামু, পূর্ব সিংভূম, এবং সাহেবগঞ্জ জেলায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েকটি কেন্দ্রে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে একটি মামলা রুজু হয়েছে। কেন এই মৃত্যু খতিয়ে দেখা হছে।” ঠিক কতজন পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে, সরকারিভাবে সেই তথ্য প্রকাশ করা না হলেও বেসরকারি সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা ৮। বিজেপির দাবি সংখ্যাটা ১০।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বাবুলাল মারান্ডির দাবি, “পরীক্ষার্থীদের মাঝরাত থেকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। পরদিন চড়া রোদেই দৌড়তে হয়েছে। উপযুক্ত প্রাথমিক চিকিৎসা-সহ অন্যান্য ন্যূনতম ব্যবস্থাও করা হয়নি।” বিজেপির দাবি, সরকারকে অবিলম্বে মৃতদের পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে হবে। মৃতদের পরিবারপিছু একজনকে চাকরি দিতে হবে। আর এই মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।
মাস দুয়েকের মধ্যেই ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন। তার আগে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে ৮ চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যু। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাপে সেরাজ্যের জেএমএম-কংগ্রেস সরকার। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই পরীক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পানীয় জল, এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। যদিও বিরোধীরা সে যুক্তি মানতে নারাজ।