জন্ম থেকেই পায়ে সমস্যা-সঙ্গী অর্থাভাব, বাধা কাটিয়ে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ রুবিনার


খবর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে দেশকে পঞ্চম পদক এনে দিয়েছেন রুবিনা ফ্রান্সিস। মেয়েদের P2 ১০ মিটার এয়ার পিস্তল SH1 ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। সঙ্গে তিনি হলেন চলতি প্যারালিম্পিক্সে চতুর্থ শুটার যিনি পদক পেলেন। অলিম্পিক্সে এই ইভেন্টেই ব্রোঞ্জ এনেছিলেন মানু ভাকের। অর্থাৎ, মানু ও রুবিনা একই আসনে জায়গা করে নিলেন।

ফাইনালে রুবিনা মোট ২১১.১ স্কোর করে তৃতীয় স্থানে শেষ করেন। তিনি ফাইনালে প্রবেশ করেন বাছাই পর্বে সপ্তম হয়ে।

কী ভাবে প্যারা অ্যাথলিট হলেন রুবিনা?

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রুবিনা ফ্রান্সিসের। জন্ম থেকেই তাঁর পায়ে সমস্যা রয়েছে। হাঁটা চলা করতে পারতেন না ঠিক করে। তাঁর বাবা সিমন ফ্রান্সিস একজন মেকানিক। পরিবারে আর্থিক সমস্যা থাকলেও মেয়ের শুটিং কেরিয়ার তৈরির চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেননি। তাঁর নিজেরও ইচ্ছে ছিল মেয়েকে শুটার বানানোর। তবে রুবিনার আগ্রহ জন্মায় গগন নারাংয়ের অলিম্পিক্সে সাফল্য দেখে।

২০১৫ সালে শুটার হিসেবে রুবিনা যাত্রা শুরু করেন। আর্থিক সমস্যা থাকলেও তিনি চেষ্টা চালিয়ে যান। ২০১৭ সালে তিনি জবলপুরের গান ফর গ্লোরি অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন।

সেখানে তিনি শিক্ষক হিসেবে পান জয় প্রকাশ নটিয়ালকে। শুটিংয়ের প্রতি রুবিনার মেধা ধরা পড়ে যায় জয় প্রকাশ নটিয়ালের কাছে। সেখান থেকে রুবিনা যান মধ্যপ্রদেশ শুটিং অ্যাকাডেমিতে। সেখানে তিনি কোচ হিসেবে পান যশপাল রানাকে। সেখানেই তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক পদক পান।

তাঁর কেরিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট আসে ২০১৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে। তিনি বুঝতে পারেন প্যারালিম্পিক্সে খেলতে গেলে কী করতে হবে। সেই থেকে প্যারালিম্পিক্সের জন্য প্রস্তুতি শুরু। ২০১৯ সালে তিনি পূর্ণত্ব অ্যাকাডেমি অফ স্পোর্টস শুটিংয়ে সুযোগ পান। কোচ সুভাষ রানা তাঁকে তৈরি করা শুরু করেন প্যারালিম্পিক্সের জন্য।

২০২১ সালে তিনি লিমা বিশ্বকাপে প্যারালিম্পিক্সে সুযোগ পান। যদিও টোকিও প্যারালিম্পিক্স গেমসে বাছাই পর্ব থেকে ছিটকে যান তিনি। কিন্তু এই বার অর্থাৎ, প্যারিসে তিনি ব্রোঞ্জ জিতে নিজেকে প্রমাণ করলেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post