এবার পুরীর নাটমণ্ডপে তৈরি হচ্ছে বিশেষ র্যাম্প। দর্শনার্থীরা যাতে খুব সহজে দেবতার মূর্তির কাছে যেতে পারেন সেই জন্য ব্যরিকেড দিয়ে ৬টি আলাদা লাইন তৈরি করা হবে। নয়া ব্যবস্থার ফলে পুণ্যার্থীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর ফলে খুব সহজেই বিগ্রহের কাছে পৌঁছনো যাবে এমনটাই জানান হয়েছে। নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, ভক্তরা বিদ্যমান গেট দিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করবেন এবং প্রস্থান দুটি ভিন্ন ফটক দিয়ে করা হবে।
হরিচন্দন বলেছেন যে তিনি এবং শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (এসজেটিএ) প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাড়হী শনিবার মন্দির পরিদর্শন করেছেন এবং মন্দিরে নতুন সুবিধা চালু করার জন্য যে কাজ চলছে তা পর্যালোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২৭ বা ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বর, পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হবে।
মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাড়হী জানিয়েছেন, "প্রভুর দর্শনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওড়িশা ব্রিজ অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন লিমিটেড এই কাজ করছে। এই নতুন ব্যবস্থা কেমন হতে চলেছে, পুণ্যার্থীরা কীভাবে ভেতরে প্রবেশ করবেন? তাঁদের কোনও অসুবিধা যাতে না হয় তা নিয়ে আলোচনা হয়।
এদিকে, পুরীর মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের কাজও চলছে পাশাপাশি। তবে সেই কাজের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই খবর। আগামী তিনমাসের মধ্যে রত্নভাণ্ডারের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানান হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে।