প্রিয় বেহালাবাসী,
আপনাদের প্রতি বিনীতভাবে বিস্তৃত কিছু কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করছি — বিষয়টি হলো “চাকরির নামে কার থেকে টাকা নিয়েছি?” এই প্রশ্নের আশঙ্কা ও সত্যতা নিয়ে।
আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো আমার কাছ থেকে অথবা আমার সম্পৃক্ততার সুযোগে কেউ কারও কাছ থেকে টাকা দিয়েছে—আশা বা প্রতিশ্রুতিতে চাকরি দেওয়ার আশায়; অথবা আমি অথবা আমার পরিচিত কেউ দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক দাবি করেছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তাহলে আমি প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী।
এই চিঠিতে কয়েকটি মূল বিষয় রাখতে চাই:
১. স্বচ্ছতা ও দায়বোধ
চাকরির ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তা সঠিকভাবে ও স্বচ্ছভাবে পালন করা অত্যাবশ্যক। যদি আমার বা আমার পরিচিতদের মাধ্যমে কাউকে ‘চাকরির আগাম টাকা’ দেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি একদম ভুল এবং অন্যায়ের দিকে ধাবিত। আমার পক্ষ থেকে যদি এমন কোনো আচরণ হয়েছে — তা মেনে নিচ্ছি।
২. স্পষ্টতা চাই
যে কোনও প্রকার আর্থিক আদান-প্রদান যদি হয়েছে — সেটা কখন, কী প্রতিশ্রুতি ছিল, টাকা কোথায় গিয়েছে — তার তথ্য দয়া করে তুলে ধরুন। আমি চাই, বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার হোক যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে বড় সংকট তৈরি না হয়।
৩. প্রতিকার ও সমাধান
যদি কোনো ব্যক্তিকে অবিচার হয়েছে, তাহলে আমি তা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। কারও টাকা অযথা হয়ে থাকলে, সময়মতো ফেরত দেওয়া হবে; কাজের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে দায়বদ্ধ থাকবো। একই সঙ্গে, ভবিষ্যতে এমন কোনো ভাবেই যেন কেউ ধোঁকাবাজির শিকার না হয়—তার জন্য আমি আপনাদের সাথে যুক্ত থাকতে প্রস্তুত।
৪. বেহালাবাসীকে আমার প্রতি আহ্বান
আপনাদের ভালোবাসা, আস্থা ও প্রতীক্ষার ভার ধারি আমি। এজন্য আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ — কোনো সন্দেহ, অভিযোগ বা প্রতিকার-চাহিদা থাকলে নির্ধ্বিধায় যোগাযোগ করুন। সমাজের এই অংশে আমরা এক-সাথে শুদ্ধ ও সজাগ থাকতে পারি।
শেষে বলবো, আমি শুধু অনুমানেই ভিত্তি করেই এই চিঠি লিখিনি — সচেতন হওয়ার মনোবল নিয়ে লিখেছি। আশা করি আমরা একপথে আগিয়ে যেতে পারবো, যেখানে প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়, আমানত রক্ষিত হয়, আর কেউ হতাশ না হয়।
আপনাদের সহযোগিতা ও বিশ্বাসের জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ জানাচ্ছি।