বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে অবশেষে পদত্যাগ করলেন গোপাল শেঠ। বুধবার দুপুরেই পুরসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে তাঁর আগেই পদ ছা়ড়লেন গোপাল। পদত্যাগপত্রে তিনি জানান, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশেই ইস্তফা দিয়েছেন।
গোপালকে নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই দলের অন্দরে ক্ষোভ শুরু হয়। বনগাঁ পুরসভার পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘ দিন স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। সেই অসন্তোষ ছড়ায় কাউন্সিলরদের মধ্যেও। অনেকেই গোপালের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গত ৬ নভেম্বর দলের তরফে গোপালকে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। সাত দিন সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও পদ ছাড়তে নারাজ ছিলেন গোপাল। উল্টে ছুটিতে চলে যান।
কেন দলের নির্দেশ অমান্য করলেন, তার কারণ দর্শানোর জন্য গোপালকে নোটিসও পাঠান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তার পরেও পদ আঁকড়ে থাকায় গোপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বাড়ছিল। গত ১৯ নভেম্বর বনগাঁ পুরসভার ন’জন কাউন্সিলর গোপালের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। তবে পদত্যাগ না-করায় রবিবার তিন কাউন্সিলর আস্থাভোট ডাকেন। বুধবার সেই আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গোপাল। বনগাঁ পুরসভার এগ্জ়িকিউটিভ অফিসারের কাছে ইমেল করে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। তাঁর ইস্তফার পর খুশির মেজাজ জেলা তৃণমূলের মধ্যে। অনেককেই আতশবাজি পুড়িয়ে উল্লাস করেতেও দেখা যায়।