জিও -কে চাপে ফেলে ভারতে ব্যবসা শুরু করতে চলেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থা 'স্টারলিনক'।


খবর বাংলা সংবাদ ওয়েব ডেস্ক :
জিও কে চাপে ফেলতে ভারতে আসছে উপগ্ৰহ নির্ভর ইন্টারনেট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট সংস্থা স্টারলিঙ্ক এর সঙ্গে আদেও কি লড়াই তে টিকতে পারবে জিও? আম্বানী দের ঘুম ছুটিয়ে ভারতে শুরু ব্যবসার প্রস্তুতি। মহাকাশ ছুঁয়ে এবার ভারতে ইন্টারনেট শুরু র কথা জানালেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের এল.এন.মাস্ক। ভারতে ব্যবসা শুরুর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্টারলিঙ্ক। ফলে এবার সম্মুখসমরে নামতে চলেছে মুকেশ আম্বানি এবং এল.এন.মাস্ক। মুকেশ আম্বানি র জিও কে কড়া চ্যালেঞ্জ এর মুখে ফেলতে পারে মাস্ক এর স্টারলিঙ্ক। চাপে পড়বে অন্যান্য টেলিকম সংস্থা গুলি ও। তবে মূল প্রতিপক্ষ নিশ্চিত ভাবেই জিও। ইতিমধ্যেই ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে স্টারলিঙ্ক। তবে এখনও পর্যন্ত এ দেশে ব্যবসা শুরু করার ছাড়পত্র পায়নি তারা। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় এখনও পর্যন্ত ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার লাইসেন্স পায়নি 'স্টারলিঙ্ক' ।

প্রথমদিকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট এবং কল পরিষেবা দিয়ে জিও মানুষের মন কাড়তে পারলেও বর্তমানে জিও এর বর্ধিত মূল্যের প্ল্যান অনেকটাই চাপে ফেলেছে মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষদের । প্রায় ২০ শতাংশ করে প্রতিটি রিচার্জ প্ল্যান এর উপর  মূল্য বৃদ্ধি করেছে জিও ।
এই মুহূর্তে অন্যান্য সব মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার তুলনায় সব থেকে ভালো গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে পারছে শুধুমাত্র জিও। সেই কারণে মূল্য বৃদ্ধি করার পরও জিওর পরিশেবা ছাড়তে পারছে না সাধারণ মানুষ । কিন্তু এবার স্টারলিংক যদি তাদের দাবি অনুযায়ী উন্নত মানের ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে ভারতে ব্যবসা শুরু করে সেক্ষেত্রে জিওর এই বর্ধিত মূল্যের পরিষেবা কতটা চাপে পড়তে চলেছে সেটা সময় বলবে ।

সেই সঙ্গে কেন্দ্রের আর্জি এদেশের নাগরিক রা যাতে এই সার্ভিস সাবস্ত্রাইব না করে। কারণ এতে ক্ষতি হতে পারে। ভারত সরকারের এই বয়ানের পরেই নড়েচড়ে বসেছে মাস্ক এর সংস্থা। কারণ তারা ইতিমধ্যে ই বানিজ্যিক লাইসেন্স এর আবেদন করে ফেলেছে। এই প্রসঙ্গে সংস্থার ভারতীয় শাখা র ডিরেক্টর সঞ্জয় ভার্গব বলেছেন "আমরা আশা করি কোনো বড়ো সড়ো বাধার সম্মুখীন না হলে ২০২২ সালের ৩১ শে জানুয়ারি র মধ্যে ই আমরা বানিজ্যিক লাইসেন্স পেয়ে যাব। অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা পরিষেবা শুরু করবো না"। ২০২২ সালের ডিসেম্বর এর মধ্যেই ২ লক্ষ ডিভাইস ইনস্টল করার টার্গেট নিয়েছে স্টারলিঙ্ক। এর মধ্যে ৮০% এলাকাই গ্ৰামীণ। মা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। স্টারলিঙ্ক এর দাবি তারা ভারতে ঝড়ের গতিতে ইন্টারনেট পরিষেবা ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।

Post a Comment

Previous Post Next Post