বেনজির কাণ্ড! সতীর্থের কনুইয়ের গুঁতোয় চোখে গুরুতর চোট, মাঠেই নামতে পারলেন না ঈশান


কোয়ালিফায়ার টুয়ে যেন ভাগ্য সঙ্গ দিচ্ছে না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের । শুরুটা হয়েছিল ক্রিস জর্ডানের বলে টিম ডেভিড যখন মাত্র ৩০ রানে থাকা শুভমন গিলের ক্যাচ ফেলে দেন, সেটা দিয়ে। তারপর রোহিত শর্মার চোট। হার্দিক পাণ্ড্যর শর্ট বলে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে চোট। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে, মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় দুরন্ত ছন্দে থাকা গ্রিনকে। পরে তিনি অবশ্য ফের ব্যাট করতে নামেন।

তবে ঈশান কিষাণকে মুখোমুখি হতে হল দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার। গুজরাত টাইটান্স ইনিংসের ১৬ তম ওভারের ঘটনা। বোলার ছিলেন ক্রিস জর্ডান। ওভার শেষ হওয়ার পর উইকেটকিপার ঈশান কিষাণ প্রান্ত বদল করছিলেন। সেই সময়ই পিচের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বোলার ক্রিজ জর্ডান তাঁর হাত নামাতে যান। তাঁর কনুই সোজা গিয়ে লাগে ঈশানের চোখে। ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটারের চোখে এতই জোরে ধাক্কা লাগে যে, তিনি মাটিতে কার্যত বসে পড়েন। ফিজিও এসে শুশ্রূষা করেন। কিন্তু ঈশান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না। চোখে তোয়ালে চাপা দিয়ে তিনি মাঠ ছাড়েন।

এমনই অবস্থা যে, তিনি ইনিংস ওপেন করতে নামতে পারেননি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন নেহাল ওয়াধেরা। যদিও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ওয়াধেরা নজর কাড়তে পারেননি। ৩ বলে ৪ রান করে ফেরেন তিনি।

মুম্বই ইনিংসের ৬ নম্বর ব্যাটার নামা পর্যন্ত ঈশান ব্যাট করতে নামেননি। তিনি শেষ পর্যন্ত নামতে পারবেন কি না, নিশ্চিত নয়।

গুজরাত টাইটান্সের ইনিংসের শেষে টিম ডেভিডকে কী বলবেন রোহিত শর্মা?

শুভমন গিলের (Shubman Gill) রান তখন ৩০। ক্রিস জর্ডানের বলে শুভমনের ক্যাচ ফেলে দেন টিম ডেভিড (Tim David)।

প্রাণরক্ষা হওয়ার পর ব্যাট নয়, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের ওপর যেন চাবুক চালালেন শুভমন। ৪৯ বলে করলেন সেঞ্চুরি। 

এলিমিনেটরে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন আকাশ মাধওয়াল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ডানহাতি পেসার মাত্র ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে রেকর্ড গড়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ক্রিকেটে আসা মাধওয়ালকে নিয়ে রীতিমতো হইচই চলছে।

উত্তরাখণ্ডের পেসারকে নিয়ে শুক্রবার ছেলেখেলা করলেন গিল। তাঁর এক ওভারে নিলেন ২১ রান। মারলেন ৩ ছক্কা।

অরেঞ্জ ক্যাপও ফাফ ডুপ্লেসির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলেন গিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়কের চেয়ে মাত্র ৮ রানে পিছিয়ে ছিলেন। ৯ রান করলেই অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক হয়ে যাওয়ার কথা ছিল শুভমনের। সেখানে তিনি করলেন ১২৯। এখন সর্বোচ্চ স্কোরার শুভমনই। ১৬ ম্যাচে ৮৫১ রান হয়ে গেল তাঁর। তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post