খবর বাংলা সংবাদ ডিজিটাল :- সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর ঘটনার পর পার পাঁচদিন। এখনও খোঁজ নেই ওই ঘটনার জন্য মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের। চলছে ইডি-পুলিশ টানাপোড়েন। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল ইডির চাঞ্চল্যকর দাবি। পুলিশকে অভিযোগের সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে যে, গত শুক্রবার শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল গোয়েন্দাদের।
ইডি-র দাবি
ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে যে, শেখ শাহজাহানের দু’টি নম্বর তাদের কাছে ছিল। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে প্রথমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা একটি নম্বরে ফোন করেন। সেটি তখন লাগাতার ব্যস্ত ছিল। তারপর অপর মোবাইল নম্বরে ফোন করেন ইডি আধিকারিকরা। সেই ফোনটি রিসিভ করা হয়। তখন ইডি আধিকারিকদের তরফে জানানো হয় যে, তাঁরা রেশন দুর্নীতির তদন্তে এসেছেন, সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়ির সামনে রয়েছেন। ইডির দাবি সেই কথা শুনেই সঙ্গে সঙ্গে অপর প্রান্ত থেকে কল কেটে দেওয়া হয়।
এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইডি আধিকারিকদের ঘেরাও করে চলে হামলা, মারধর। হামলাকারীরা শাহজাহানের অনুগামী বলে অভিযোগ। অর্থাৎ সন্দেসখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ পরিকল্পনা করেই যে ওই দিন হামলা চালিয়েছিল সেটাই পুলিশকে লিখিতভাবে বোঝাতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
এই ঘটনায় পাল্টা ইডির বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শোনা যায়। যদিও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগ, এফআইআর ওয়েবসাইটে আপলোড বা তার কপি তাদের দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি আদালতেও জানিয়েছে ইডি। অন্যদিকে ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ইডিও। যদিও পুলিশ ঘটনায় অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তাদের। পুলিশের তরফে ইডি আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করার জন্য বুধবার বসিরহাটের ডিএসপির নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা পৌঁছেছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে দেখা যায় আরও একজনকে। যদিও শেষ পর্যন্ত বয়ান রেকর্ড করা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
আদালতের নির্দেশ
এদিকে, সন্দেশখালি কাণ্ডে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এমনই মৌখিক নির্দেশ দিলেন। পাশাপাশি, ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে এদিনই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। আজই এই মামলার শুনানি হবে।