টিনের শেড দিয়ে গড়া নয়া স্টল ও স্বচ্ছ প্লাস্টিকে মোড়া পণ্য নিয়ে বসা মডেলের প্রশংসা করলেও শহরের বিভিন্ন মার্কেটের সামনে হকারদের দাপট বৃদ্ধিতে যে পুরকর্তারা খুবই অসন্তুষ্ট তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মেয়র ও পারিষদরা। নিউ মার্কেটের চারপাশ জুড়ে ‘হকারদের তাণ্ডব’ চলায় তিনি যে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট তা বুঝিয়ে দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘নিউ মার্কেটের ভিতরের দোকানে পাজামা বিক্রি হয়, বাইরে হকাররা তার দড়ি নিয়ে বসেন। কিন্তু দোকান আড়াল করে পাজামার ক্রেতাদের আসা বন্ধ করে দিলে দড়ি বিক্রি হবে না, ক্ষতি তো হবে দু’দলেরই।’’ মেয়রের পাশে দঁাড়ানো হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা শক্তিমান ঘোষ বলেন, ‘‘নীতি মেনেই হাসপাতাল-সরকারি অফিসের মতো নিউ মার্কেটের মেন গেট থেকে পাঁচ ফুট ছেড়েই হকারদের বসা উচিত।’’
আসলে যাঁরা লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে দোকান কিনে বা ভাড়া নিয়ে প্রচুর টাকা ধারদেনা করে ট্রেড ও ফায়ার লাইসেন্স নিয়েই দোকান সাজিয়ে বসেছেন তাঁরা অনেকেই হকারদের দাপটে বিপন্ন। শহর জুড়ে অধিকাংশ মার্কেটের বাইরে একশ্রেণির হকাররা এতটাই জবরদখল করে আছে যে ক্রেতারা বাজারেই ঢুকতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েও ফুটপাথ থেকেই মাছ-মাংস-সবজি-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বাধ্য হচ্ছেন বলে পুরসভায় অভিযোগ এসেছে। বস্তুত সেই কারণে এদিন নিউ মার্কেটের উদাহরণ তুলে মহানগরের হকার নীতি বলতে গিয়ে ফুটপাথের পথচারীদের পাশাপাশি দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে সওয়াল করেন মেয়র। গড়িয়াহাটে কালো প্লাস্টিক তুলে দিয়ে টিনের শেডের স্টল চালু নিয়ে হকারদের প্রশংসা করেন ফিরহাদ হাকিম ও দেবাশিস।