আজ সকালের এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। আশপাশের বাড়িগুলির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ধসের জেরে জলের পাইপলাইন (Water Pipeline) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জেরে ঠাকুরপুকুর এবং সংলগ্ন এলাকায় জলের পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ (Electric) সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। অর্থাৎ জল ও বিদ্যুতের অভাবে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ধস আরও বড় আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযোগ উঠছে, দীর্ঘদিন ধরে এখানে কেইআইপি-র একটি নিকাশি প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেই কাজ সময়ে শেষ হয়নি এবং অপরিকল্পিতভাবে কাজ হচ্ছিল। তাই এই পরিস্থিতি। স্থানীয় কাউন্সিলরও একই অভিযোগ করছেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ধসকে সামাল দেওয়া যাবে কী করে ? কারণ, যে আকারের গর্ত তৈরি হয়েছে, তা ভরাট করতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় কাউন্সিলর এবং কেইআইপি-র প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেছেন।
গত অগাস্ট মাসে বেহালায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার পথেই শেষ হয়ে যায় এক খুদের সারাজীবনের পথচলা। বেপরোয়া লরি কেড়ে নেয় সাত বছরের একরত্তির প্রাণ! আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালার চৌরাস্তা।
ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ৬টা। বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে আসছিল, বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, অটো থেকে নেমে, সিগনাল দেখেই রাস্তা পেরোচ্ছিল বাবা-ছেলে। হঠাৎ, বেপরোয়া গতিতে আসা একটি লরি তাদের ধাক্কা দিয়ে সৌরনীলের মাথা ও তার বাবার পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। লরির চাকায় পিষে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৭ বছরের একরত্তির।