সিএএ নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ, মতুয়াদের অনুষ্ঠানে মেজাজ হারিয়ে তেড়ে গেলেন শান্তনু ঠাকুর


খবর বাংলা সংবাদ ডিজিটাল :- কয়েকদিন আগেই কলকাতায় এসে সিএএ নিয়ে বড় দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিশ্লেষকদের মত, গত লোকসভা ভোটে মতুয়া ভোটের জোরে বাংলায় ভালো ফল করতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। সেই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক অক্ষত রাখতে সিএএ অস্ত্রে শান দিচ্ছে বিজেপি। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি ২০১৯ সালে আইনে পরিণত হলেও তা এখনও দেশে কার্যকর হয়নি। এই আইনের নিয়ম তৈরি হয়েছে কি না, তাও জানা নেই। এরই মাঝে সিএএ নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। আবার সিএএ বিরোধিতায় সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ট্যাংরা কলোনিতে মতুয়া ধর্ম মহাসম্মেলনে আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সিএএ ইস্যুতে প্রতিবাদে মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্দেশে বাবা-ঠাকুরদাকে নিয়ে কটুক্তি করা হয়। এই ঘটনায় মেজাজ হারিয়ে তেড়ে যান শান্তনু।

শান্তনু ঠাকুরের অবিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে মতুয়াদের তিনি আশ্বস্ত করেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ হবেই। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'কে, কী বলছে তাতে বেশি কান দেবেন না।' এদিকে অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার সময় বচসা শুরু হয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ট্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান স্বরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'শান্তনু ঠাকুর মিথ্যা কথা বলছেন। এখানে মন্ত্রী অশ্লীল কথা বলেছেন সাধারণ মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কোন বিষয় নয় এটা। ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে কোনও রাজনীতি হয় না।'

এদিকে নাগরিকত্ব না পেলে আমরণ অনশনে নামার হুঁশিয়ারি দিল মতুয়া সমাজ। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের মহাসমাবেশ মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সভানেত্রী মমতাবালা ঠাকুর। পাশাপাশি নাগরিকত্ব না পেলে মতুয়ারা কোনও দিনই রামমন্দিরে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন মমতাবালা ঠাকুর। মমতাবালা বলেন, 'আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে, তাই আমরা এখন উদ্বাস্তু। আমরা এনআরসি হতে দেব না। ২০২৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মতুয়া সমাজ ও বাঙালিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই লড়াই সবার। মতুয়ারা উজ্বাস্তু নয়। এই দেশেরই নাগরিক। তাই নাগরিকত্ব না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটবে মতুয়া সমাজ।' এদিকে নাগরিকত্বের দাবিতে আগামী জানুয়ারি মাসে ঠাকুর নগরে শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির সামনে গিয়ে সমাবেশ করা হবে বলেন জানান মমতাবালা।

Post a Comment

Previous Post Next Post