দেশে JN1 আক্রান্ত শতাধিক, কোভিড রোগীদের ৭ দিন আইসোলেশনের পরামর্শ কর্নাটক সরকারের


খবর বাংলা সংবাদ ডিজিটাল :- কোভিড পজিটিভ হলেই এবার থেকে সাতদিন আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ। দেশজুড়ে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের জেরে এবার এমনই সিদ্ধান্ত কর্নাটক সরকারের। শুধু তাই নয় করোনার নয়া স্ট্রেন JN1-এ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এ রাজ্যে। ফলে জনগণের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে সিদ্দারামাইয়া সরকার।

JN1 আক্রান্ত শতাধিক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫২৯ জন। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৩। যা গত একদিনের থেকে ৭৭ জন কম। গত ২৪ ঘণ্টাতেও মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত তিন রোগীর। একদিনে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৬০৩ জন। গত ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কোভিডের নয়া স্ট্রেন JN1-এ আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১০৯ জন। উদ্বেগ রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, কেরালা নিয়ে। কর্নাটকে কোভিডের JN1 স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩৪ জন। তার মধ্যে কেবলমাত্র বেঙ্গালুরুতেই ২০ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে JN1। গুজরাটে JN1 আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। গোয়াতে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪, মহারাষ্ট্রে ৯, কেরালায় ৬, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুতে ৪ এবং তেলঙ্গানায় ২।

কোভিডের নয়া স্ট্রেন নিয়ে কী কী নির্দেশিকা?

বাইরে বেরোলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উপসর্গ থাকলে শিশুদের স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করা হচ্ছে।

শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে বলা হচ্ছে।

উপসর্গ থাকলে কোভিড টেস্ট করানোর উপর জোর।

টেস্টে কোভিডের রিপোর্ট পজিটিভ এলে নিয়ন অনুযায়ী সাতদিনের জন্য আইসোলেশনে যাওয়ার নির্দেশ।

প্রবীণদের ক্ষেত্রে বুস্টার ভ্যাকসিন ডোজ নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

কোমর্বিড ৩০ হাজার কর্নাটকের বাসিন্দাকে কোর্বেভ্যাক্স টিকা দেবে সিদ্দারামাইয়া সরকার।

জানুয়ারিতে বাড়বে সংক্রমণ

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল জানুয়ারি মাসে। গত বছরও ওমিক্রনে আক্রান্তের সবচেয়ে বেশি খবর এসেছিল জানুয়ারি মাসেই। তবে ফেব্রুয়ারির পর থেকে কমতে থাকে সংক্রমণ।

বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা

সরকার এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯-এর নয়া স্ট্রেনের জন্য বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে ঘোষণা করেনি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, 'কোভিড ১৯-এর সাব ভ্যারিয়ান্ট JN1 আক্রান্তদের মধ্যে একাধিক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই হোম আইসোলেশনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।' তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে মাস্কের ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।

Post a Comment

Previous Post Next Post