খবর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : ফের মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বড়সড় ভাঙন বিজেপিতে। মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা হারানোর পর এবার বিজেপির হাতছাড়া কাশিনগর পঞ্চায়েতও হাতছাড়া হল বিজেপির। বিজেপির প্রধান ও উপপ্রধান এবং এক নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় হাতবদল হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার কাশিনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতটির দখল নিল শাসকদল তৃণমূল।
তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাশিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১২ টি আসনের সাতটিতে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল তিনটি আসন। এছাড়াও সিপিএম ও নির্দল প্রার্থীরা একটি করে আসনে জয়লাভ করেন। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। বিজেপি পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে প্রধান হন বর্ণালী বাগ। উপপ্রধান ছিলেন সুমনা পুরকাইত। ছ’মাস আগে উপপ্রধান সুমনাদেবী ও নির্দল প্রার্থী রবিউল ঘরামি তৃণমূলে যোগ দেন। তখন থেকেই পঞ্চায়েতে বিজেপির ক্ষমতা কমতে শুরু করে। কানাঘুষো চলছিল প্রধানের দলবদল নিয়েও। সেই গুঞ্জন সত্যি করে শুক্রবার বিজেপির প্রধান বর্ণালীদেবী যোগ দিলেন শাসকদলে। ফলে কাশিনগর গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির।
এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে যোগদান সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভাতেই বিজেপি পরিচালিত বোর্ডের প্রধানের হাতে এদিন দলের পতাকা তুলে দেন মথুরাপুরের (Mathurapur) তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার। উপস্থিত ছিলেন রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতাও। প্রধান ছাড়াও তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির এক মণ্ডল সহ-সভাপতি ও কয়েকজন কর্মী। শাসকদলে যোগ দিয়েই প্রধান জানান, এলাকায় বর্তমানে বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন খাতে সাধারণ মানুষের টাকা আটকে দিচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ করেও এলাকার অনেকে টাকা পাননি, কেউ কেউ আবাস যোজনার টাকাও পাননি। সাধারণ মানুষের কাছে নানা কথা শুনতে হচ্ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের লক্ষ্যেই সামিল হয়েছেন তিনি। সাংসদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হতেই বিজেপি ও নির্দল ছেড়ে যাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের সকলকেই দলে স্বাগত জানাচ্ছি। কাশিনগর পঞ্চায়েত এখন থেকে তৃণমূল পরিচালনাধীন হওয়ায় সাধারণ মানুষকে উন্নয়ন পরিষেবা পৌঁছে দিতে আরও অনেক বেশি সুবিধা হবে।”
রায়দিঘির বিধায়ক বলেন, “সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়ন পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রথম ধাপ হল পঞ্চায়েত। মুখ্যমন্ত্রী সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন। এলাকায় ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। আরও অনেক উন্নয়নমুখী প্রকল্প পরিকল্পনাধীন রয়েছে। সেই উন্নয়ন কর্মসূচিতে শামিল হতেই বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসকদলে যোগ দিয়েছেন প্রধান, উপপ্রধান সহ আরও অনেকেই।”