সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে ধর্ষণ-খুনের দিন হাসপাতালের ঘটনাক্রম। সূত্রের খবর, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে প্রায় ২০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রত্যেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে
১. ঘটনার দিন রাতে কী কী দেখেছিলেন তাঁরা?
২. কার, কোথায় গতিবিধি
৩. ধৃত সঞ্জয় রায় সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে চেয়েছে CBI
৪. সঞ্জয় কি একাই ছিল না কি আরও কাউকে দেখা গিয়েছিল ওই দিন? যার বা যাদের ভূমিকা সন্দেহজনক ছিল?
এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এই ঘটনার পর থেকেই বারবার নানা প্রশ্ন উঠেছে, বারবার বিরোধীরা অভিযোগ করেছে যে প্রমাণ মেটানোর কাজ হচ্ছে। হাসপাতাল ভবনের চারতলার সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকের দেহ মিলেছিল। তার পাশেরই একটা অংশ ভাঙা শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা এসে তা বন্ধ করেন। ওই ঘটনায় বহু জলঘোলা হয়েছে। কার নির্দেশে এবং কেন এত তড়িঘড়ি ওই ভবন ভাঙা হচ্ছিল সেই প্রশ্ন উঠেছে। ওই একই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কেন ওই অংশ ভাঙা হয়েছে, ঠিক কবে কতটা কাজ হয়েছে সেসব নিয়েও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে জানতে চাইছে সিবিআই।
নজর সন্দীপের ফোন রেকর্ডে:
এর আগেও খবর মিলেছে যে আরজি করের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষের কল রেকর্ডে নজর দিতে চায় সিবিআই। আরও কি কোনও কোনও ব্যক্তির ফোন রেকর্ডে নজর রাখছে সিবিআই।
এরই সঙ্গে সূত্রের খবর, নিহত মহিলা চিকিৎসকের দেহের পাশ থেকে একটি ডায়েরি মিলেছিল। সেটা প্রথমে পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ওই ডায়েরি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু পাতা ছেঁড়া রয়েছে। আবার অন্যদিকে কিছু ছেঁড়া পাতাও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই ডায়েরির মধ্যে এমন কিছু কি আছে যেখান থেকে উত্তর মিলবে এই ধর্ষণ-খুনের মতো নারকীয় কাণ্ডের পিছনে থাকা রহস্যের?