পুরুলিয়া : এখনও অধরা ওড়িশার সিমলিপাল থেকে পালিয়ে আসা বাঘিনী। বন দফতর সূত্রে খবর, এখনও সে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের কেশরার জঙ্গলের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। ওই এলাকা সংলগ্ন রহমদা গ্রামের কাছের জঙ্গলে গবাদি পশুদের ওপর হামলা হওয়ায়, এই গ্রামের পাশের জঙ্গলে জাল পাতা হয়েছে। বেশ কিছু গবাদি পশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে। কিছু গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। রেডিও কলার গতিবিধি জানান দিলেও, বাঘিনীর দেখা এখনও মেলেনি। অন্যদিকে, বাঘের আক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে মৃত গবাদি পশুর ময়নাতদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। চারপাশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে জাল দিয়েছে যাতে বাঘ গ্রামে ঢুকতে না পারে। এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন বনকর্মীদের একাধিক দল। জঙ্গলে বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা।
খাঁচার পাশ দিয়ে ঘুরলেও খাচ্ছে না টোপ। দেখা যাচ্ছে, টোপের ছাগল নয়, শিকার করেই খিদে মেটাচ্ছে বাঘিনী। টোপ দেওয়া ছাগল ছুঁয়েও দেখছে না বাঘিনী, এদিকে চড়তে চড়তে ঘাড় মটকাচ্ছে জঙ্গলে যাওয়া ছাগলের। টোপে অরুচি, পছন্দ গৃহপালিত গবাদি পশু। মৃত ছাগলের শরীরে থাবার চিহ্ন দেখে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না এ কার কীর্তি। তবুও নিশ্চিত হতে পরীক্ষা নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। বাঘের আতঙ্কে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন রহমদা গ্রামের বাসিন্দারা। বড়দিনে বাঘিনীর ভয়ে কাঁটা পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল।
খাঁচার পাশ দিয়ে ঘুরলেও খাচ্ছে না টোপ। দেখা যাচ্ছে, টোপের ছাগল নয়, শিকার করেই খিদে মেটাচ্ছে বাঘিনী। টোপ দেওয়া ছাগল ছুঁয়েও দেখছে না বাঘিনী, এদিকে চড়তে চড়তে ঘাড় মটকাচ্ছে জঙ্গলে যাওয়া ছাগলের। টোপে অরুচি, পছন্দ গৃহপালিত গবাদি পশু। মৃত ছাগলের শরীরে থাবার চিহ্ন দেখে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না এ কার কীর্তি। তবুও নিশ্চিত হতে পরীক্ষা নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনবিভাগ। বাঘের আতঙ্কে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন রহমদা গ্রামের বাসিন্দারা। বড়দিনে বাঘিনীর ভয়ে কাঁটা পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল।
বাঘিনীক বাগে আনতে খাঁচা পাতা হয়েছে। ঘুম পাড়ানি গুলি নিয়ে তৈরি বনদফতরের ট্রানকুলাইজার টিম। কিন্তু দেখা নেই রয়্যাল বেঙ্গলের। বিগত দু'দিন ধরে মোটামুটি একই জায়গাতে রয়েছে বাঘিনী, জানিয়েছে বনদফতর। জঙ্গল সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকাতেই ঘোরাফেরা করছে। ওখানেই পাতা রয়েছে খাঁচা। তার কাছাকাছি গেলেও ফাঁদে পা দেয়নি। রাতে গ্রামে রাখা হয়েছে পাহারাদার। গবাদি পশু বাঘে খেয়ে নিলে ক্ষতিপূরণে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু আশপাশে রয়েছে বাঘ, তাই আতঙ্ক বাড়ছে প্রতিনিয়ত। গবাদি পশু আর জঙ্গলে চড়তে পাঠাবেন না বলেই জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।