ত্রিপুরা সীমান্তে ফের বেআইনি অনুপ্রবেশ, আগরতলা স্টেশন থেকে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি, জালে ২ ভারতীয় দালালও



ত্রিপুরা : ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় আগরতলা স্টেশন থেকে ফের গ্রেফতার হলেন ৭ জন। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ২ জন ভারতীয় দালাল। ত্রিপুরা পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল বেআইনিভাবে সীমান্ত পার করে আগরতলা স্টেশনে আসে ৫ বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের সঙ্গে ছিল দুই দালাল। এই দু'জনের মধ্যে একজন মহিলা, যার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। আরেক দালালের বাড়ি বাঁকুড়ায়। 

অনুপ্রবেশের জেরে গ্রেফতারের সঙ্গে ক্রমাগত বাড়ছে। নদিয়া থেকে সম্প্রতি ৩ বাংলাদেশি-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশের কারণে। দক্ষিণ দিনাজপুর দিয়েও অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল। আর এবার ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় আগরতলা স্টেশন থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ৭ জন। এর আগেও আগরতলা স্টেশন থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশের কারণে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। খোদ শহর কলকাতায় পার্কস্ট্রিটের মতো এলাকা থেকে এক মাসের মধ্যে ২ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

দুটো পৃথক অপারেশনের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ২ ভারতীয় দালালকে। প্রথমে চারজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং ২ ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে বিকেলে আরও একজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম দেবানন্দ দাস, শেফালি দাস, যশ্মি দাস এবং গোলাপি দাস। এই চারজনের বাড়ি বাংলাদেশের কক্সবাজারে। অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়া দুই দালালের একজনের নাম অর্জুন দাস, বয়স ৬০ বছর, বাড়ি বাঁকুড়ায়। অন্য মহিলা দালালের নাম ইরানি দাস, বয়স ২৭ বছর, বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণা জেলায়।  

বিকেলে আলাদা অপারেশনের মাধ্যমে যাকে গ্রেফতার করা হয়, প্রাথমিক ভাবে জানা যায় যে, সে নাম গোপন করেছিল, পরিচয়, ঠিকানা সব নিয়েই ভুল তথ্য দিয়েছিল। প্রথমে সে নাম বলেছিল মহম্মদ পল্লব মাঝি। সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জানা যায় যে, প্রথমে ছদ্মনাম বলেছিল সে। তার আসল নাম ইব্রাহিম সর্দার। বাড়ি বাংলাদেশের সিপাইজলা জেলায়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছে সে। এই ব্যক্তি সম্পর্কে বিশদ তথ্য তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ্যে আনেননি গোয়েন্দারা, গোপনেই রেখেছেন। আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বই পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল এই ধৃতের, এমনটাই ওই ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এই ব্যক্তির গোপন সন্দেহজনক গতিবিধি থাকার অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। ত্রিপুরা সীমান্তে এবং আগরতলায় বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা, নজরদারি।

Post a Comment

Previous Post Next Post