বাড়িতেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার চোদ্দো বছরের কিশোরের দেহ। কিশোর আত্মহত্যা করেছে বলেই পুলিসের প্রাথমিক ধারণা। ক্লাস সেভেনের মৃত পড়ুয়া তাঁর বাবা-মা, দাদার সঙ্গে বেঙ্গালুরুর বনগিরিনগরে থাকত।
তাঁর বাবা গনেশ প্রসাদ একজন সঙ্গীত শিল্পী। কিশোরের দাদা কলেজ পড়ুয়া। সকাল ৫.৪০ নাগাদ কিশোরের ঘর থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়।
নোটটিতে লেখা, 'প্রিয় পরিবার, যেই এটা পড়ে থাকুক না কেন, প্লিজ কাঁদবে না। আমি ইতিমধ্যেই স্বর্গেতে আছি। দয়া করে আমাকে ভুল বুঝো না। আমি বুঝতে পারছি তোমাদের মধ্যে এখন কী যাচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে, জানি। কিন্তু আমি এই কাজটা করেছি, কারণ যাতে তোমরা শান্তিতে থাকত পারো। আমি জানি, আমি তোমাদের রাগিয়েছি, কষ্ট দিয়েছি, বিরক্ত করেছি, ইত্যাদি।'
কিশোর আরও লেখেন, 'কিন্তু এই কাণ্ড করার আমার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। যদি তোমরা আমার উপর রেগে থাকো, তাহলে আমি খুবই দুঃখিত। প্লিজ আমাকে আমার সব পাপ এবং খারাপ কাজের জন্য ক্ষমা করো। আর আমি আমার জীবনের ১৪ বছর বেঁচে থাকতে পেরে খুবই খুশি। আমি স্বর্গে সুখী। দয়া করে আমার সকল বন্ধুদের বলো, আমি তাদের সবাইকে ভালোবাসি এমনকি আমার স্কুলের বন্ধুরাও। আমি তোমাদের সকলের খুব মিস করব। বিদায় আম্মা।'
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরের মা সবিতা, যিনি একজন সঙ্গীতশিল্পী। বর্তমানে তিনি একটি অনুষ্ঠানের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশ ভ্রমণে আছেন। পুলিস আও জানিয়েছেন, কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ভিত্তিতে ইউডিআর মামলা নথিভুক্ত করেছে।