বেহালা নারায়ন মেমোরিয়াল হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ।


নিজস্ব প্রতিবেদন খবর বাংলা সংবাদ :

বেহালা নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, পরিবারের তরফে উঠল চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ

বেহালা: বেহালার নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত রোগীর পরিবারের তরফে অভিযোগ, চিকিৎসা গাফিলতির কারণেই এই মৃত্যু হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ই আগস্ট ওই রোগীর অস্ত্রোপচার হয়। এরপর ৬ই আগস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে সুস্থ বলে ঘোষণা করে এবং পরিবারের সদস্যদের একাধিকবার ফোন করে জানানো হয় যে, রোগীর ছুটি হয়ে গিয়েছে, তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে হবে।

পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের চাপে পড়েই তাঁরা রোগীকে বাড়ি নিয়ে যান। কিন্তু বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর ফের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, তাঁরা হাসপাতালের যাবতীয় খরচ যেমন বেড ভাড়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব কিছুই নিয়ম মতো পরিশোধ করেছিলেন। তবুও এই ধরনের গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। হাসপাতালের সামনে রোগীর পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সরকারি বিবৃতি দেয়নি। পরিবার চাইছে, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ঘটনার জেরে আবারও প্রশ্ন উঠছে, শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার মান এবং দায়িত্ব নিয়ে।

রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা বেহালায়, হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

বেহালা নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা ৬০ বছরের অজিত হালদার বুকে ব্যথা নিয়ে গত ৪ তারিখ ভর্তি হন বেহালা নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালে। অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী ভর্তি করতে রাজি হয়নি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতাল ১১ হাজার টাকা এডমিশন ফি চেয়ে বসে এবং তা না দিলে ভর্তি নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই টাকা মেটান এবং তারপরেই রোগীকে ভর্তি করা হয়।

পরের দিন সকালে একটি ছোট অস্ত্রোপচার করা হয় অজিতবাবুর। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং কয়েকদিন পর্যবেক্ষণের পর ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের একদিনের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় তাকে।

রোগী বাড়ি ফেরার একদিন পর, অর্থাৎ আজ সন্ধ্যেবেলায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, যথাযথ পর্যবেক্ষণ না করে দ্রুত হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়াতেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পরপরই উত্তেজনা ছড়ায় বেহালা নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতাল চত্বরে। মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেহালা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এই ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মৃতের পরিবারের দাবি, ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।

Post a Comment

Previous Post Next Post