রাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রতিটি বুথে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে উন্নয়নমূলক কাজে। কী কী কাজ হবে, তা নির্ধারণ করছেন এলাকার মানুষজন নিজেরাই। অর্থাৎ এই উদ্যোগকে বলা হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থার নতুন দৃষ্টান্ত। সরকারি হিসাবে, গত ১৫ দিনে ৮,৫০০-র বেশি ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। রাজ্যজুড়ে এই ব্যাপক উপস্থিতিই প্রমাণ করছে কর্মসূচির সাফল্য। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শাসকদল দাবি করেছে— মানুষের চাহিদা, মানুষের দাবি ও প্রয়োজন মেনে উন্নয়নকে বুথ স্তরেই বাস্তবায়িত করছে এই প্রকল্প।
রাজ্যের লক্ষ্য, মোট ৮০,৬৮১টি বুথে পৌঁছে দেওয়া হবে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’-এর কার্যক্রম। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮,৭৫৩টি ক্যাম্প করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বুথে সফলভাবে কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতোই এই কর্মসূচি বাংলার মানুষের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সরকারের দাবি, এ এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ, যা প্রমাণ করছে— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য, মানুষের সঙ্গে, মানুষের পাশে।