গুরুগ্রামের একটি গ্রামে এক মহিলা ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সন্দেহ, ওই মহিলা , তাঁর প্রেমিক এবং আরও তিনজন সঙ্গে মিলে মহিলার স্বামীর খুন করে। তারপর দেহটি লুকিয়ে রাখে। বিহারের নওয়াদার বাসিন্দা ছিলেন ছিলেন মহিলার স্বামী। বয়স ছিল মাত্র ৩৭। পুলিশ এই ঘটনায় বিক্রমের স্ত্রী সোনি (৩৫) এবং তাঁর 'প্রেমিক' রবীন্দ্র (৩৪) সহ মোট ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পিটিআই সূত্রে খবর, গত ২৬ জুলাই খুনটি করা হয়। তারপর অভিযুক্ত স্ত্রীই ২৮ জুলাই স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করে।
পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের সন্দেহ, সোনি এবং রবীন্দ্রর মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। একদিন সোনির মেয়ে রবীন্দ্রর ফোনে আপত্তিকর ভিডিও দেখে তার বাবাকে জানায়। জানাজানি হয়ে গেলে সোনি ও তার কথিত প্রেমিক মিলে বিক্রমকে খুন করার ষড়যন্ত্র করে ফেলে। খুনের পর কীভাবে দেহ লোকালে পুলিশ ঘুণাক্ষরেও টের পাবে বা, তা ইন্টারনেট এবং ইউটিউবে সার্চও করে তারা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র এবং ১৯-২০ বছরের, মনীষ এবং ফরিয়াদকে নিয়ে খুনের পরিকল্পনা করে। বাড়ি ফেরার সময় বিক্রমকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় । তারপর দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর দেহটি মহম্মদপুর ঝারসা গ্রামে রবীন্দ্রর কাকা সন্তারপালের সাহায্যে পুঁতে দেওয়া হয়। দেহটি ফেলার জন্য আগে থেকেই গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। গর্তটি খুঁড়েছিলেন রবীন্দ্রর কাকাই। সব কাজ প্ল্যানমাফিক হয়ে গেলে, ২৮ জুলাই বিক্রমের স্ত্রী সোনি শিল্প বিহার থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট দায়ের করে।
ঘটনার তদন্তে নেমে বিভিন্ন তথ্য ও জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি এক্কেবারে স্পষ্ট হয়ে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবীন্দ্র পুরো ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। এরপর রবীন্দ্রর দুই সহযোগী মনীষ ও ফরিয়াদকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার সান্তারপালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার তাদের ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে, সোনিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সোনি স্বীকার করেছেন খুনের পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার কথা। মেনে নিয়েছেন রবীন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্কের কথাও।