বউয়ের সঙ্গে কথা বলায় ‘রেগে আগুন’ লিভ-ইন পার্টনার, মর্মান্তিক পরিণতি সঙ্গীর



বউকে ফোন করে খোঁজখবর নেওয়ায় গোঁসা লিভ-ইন পার্টনারের। বারবার আপত্তি জানালেও কানে না তোলায় মর্মান্তিক পরিণতি হলো ৪০ বছরের এক ব্যক্তির। অভিযোগ, বউয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলায় তাঁকে বুকে ছুরি মেরে খুন করেছেন লিভ-ইন পার্টনার তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে, গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ় থ্রি এলাকায়। এদিকে ঘটনায় রহস্য বাড়িয়েছে ফ্ল্যাটে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি।

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম হরিশ শর্মা। তিনি গুরুগ্রামের বালিয়াসের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন স্ক্র্যাপ ডিলার।গত এক বছর ধরে গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ় থ্রি এলাকার ওই ফ্ল্যাটে বছর ২৭-এর তরুণীর সঙ্গে লিভ-ইনে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, দুই সন্তানকে নিয়ে হরিশের স্ত্রী থাকেন গ্রামের বাড়িতে।

মাঝেমধ্যে ফোন করে গ্রামের বাড়িতে পরিবারের খোঁজ নিতেন হরিশ। তা একদমই পছন্দ ছিল না হরিশের লিভ-ইন পার্টনার যশমীত করের। প্রেমিকার কথা ভেবেই পরিবারের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ রাখতেন না হরিশ। তবে সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই কারণে নিয়মিত দফায় দফায় ফোন করে স্ত্রীর খবর নেওয়া শুরু করেন তিনি। তাতেই অশান্তির সূত্রপাত।

স্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ বাড়ানোয় হরিশ আর যশমীতের মধ্যে অশান্তি তুঙ্গে ওঠে। সূত্রের দাবি, অশান্তি এড়াতে শনিবার রাতে ফ্ল্যাটের বাইরে বেরিয়ে স্ত্রীকে ফোন করেন হরিশ। কিন্তু তাতে হয় হিতে বিপরীত। স্ত্রীকে ফোন করার জন্য আড়াল খোঁজায় আরও ক্ষেপে ওঠেন প্রেমিকা। ফ্ল্যাটে হরিশ ফিরতেই শুরু হয়ে যায় জোর অশান্তি।

রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে উত্তপ্ত বার্তালাপের মধ্যেই রাগের মাথায় হরিশের বুকে ছুরি ঢুকিয়ে দেন যশমীত, এমনই অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে জখম হরিশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।পুলিশে দায়ের হয়েছে খুনের অভিযোগ।

এদিকে জানা গিয়েছে, শনিবার ফ্ল্যাটে যশমীত ও হরিশ ছাড়াও ছিলেন হরিশের এক বন্ধু। ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও ওই ব্যক্তিই আহত হরিশকে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে দাবি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দিল্লির অশোকনগরের বাড়ি থেকে যশমীতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে খুনের অস্ত্র এবং রক্তে ভেজা টি-শার্ট বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Post a Comment

Previous Post Next Post