শিক্ষকতার পুরোনো চাকরিতে ফেরানোর কাউন্সেলিং ২৫শে অক্টোবর


২০১৬–র আগে থেকেই স্কুলে বা অন্যত্র সরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত ছিলেন ওঁরা। তার পরেও আরও ভালো সুযোগ এবং বাড়ির কাছে চাকরির আশায় ২০১৬–য় এসএসসি–র নিয়োগ–প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৬–র সেই প্যানেল পুরোই বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।

স্কুলশিক্ষা কমিশনারের নির্দেশের পরে এসএসসি ২৫ অক্টোবর কাউন্সেলিংয়ের দিন ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন জেলার প্রার্থীদের নানা সময়ে ডাকা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১১৯, উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, কোচবিহার ও কলকাতা মিলিয়ে ১৩০ জনকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া, হাওড়া ও দক্ষিণ দিনাজপুর মিলিয়ে মোট ৭৮ জন, পশ্চিম বর্ধমান, শিলিগুড়ি, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, পূর্ব বর্ধমান থেকে ১১৪ জনকে ডাকা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, বীরভূম ‌ও উত্তর দিনাজপুর মিলিয়ে ১০৫ জনকে ডাকা হয়েছে।

কিন্তু পুরোনো চাকরিতে ফিরতে চাওয়া এই ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা যে স্কুলের চাকরি ছেড়ে এসেছিলেন, সেখানে আর শূন্যপদ নেই। ফলে এ বার কোন স্কুলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের পরে তাঁরা আদৌ বাড়ির কাছে ও নিজের জেলার স্কুলে পড়ানোর সুযোগ পাবেন কি না, তা নিয়েও সন্ধিহান। যদিও কমিশন সূত্রে খবর, এই ৫৪৬ জনকে নিজেদের জেলাতেই নিযুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post