ভোটার কার্ড করে দেওয়ার নামে তরুণীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ, কাউন্সিলারকে বহিষ্কার করল তৃণমূল


বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে বহিষ্কৃত করল তৃণমূল কংগ্রেস। কাউন্সিলার প্রিয়নাথ সাউ ওরফে টিঙ্কুর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা তরুণী রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতা অভিযুক্ত কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকির কথা উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, ২০১৫ সালে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে প্রিয়নাথ সাউয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ভোটার কার্ডের কাজে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তিনি তরুণীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন এবং পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।

এর পরেই কোনও উপায় না দেখে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানায় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই ওই কাউন্সিলারকে বৃহস্পতিবার অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দল থেকে অপসারণ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি যে রামপুরহাট শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদে আসীন হয়েছিলেন, সেই পদটিও তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তবে কাউন্সিলার থাকছেন অভিযুক্ত প্রিয়নাথ।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিয়নাথ সাউ। তিনি দাবি করেছেন, অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সরব হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বীরভূম সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর অভিযোগ। আমাদের রাজ্যে যারা ধর্ষক তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পায়। আমাদের বাড়ির মা-বোনেরা আর নিরাপদ নেই। এই ঘটনা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সকলকেই গ্রেপ্তার করতে হবে।’


Post a Comment

Previous Post Next Post