যাত্রী পরিবহণ শুরু করার ক্ষেত্রে অক্টোবরের ডেডলাইন ফেল করেছে বন্দে ভারত স্লিপার। কারণ, কয়েকটি জায়গায় ত্রুটি ধরা পড়ার পরে কামরার অন্দরসজ্জায় কিছু পরিবর্তন করার জন্য বন্দে ভারত স্লিপারের রেক–কে পাঠানো হয়েছে রিসার্চ ডিজ়াইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজ়েশন (আরডিএসও)–এর কাছে। তবে তারই মধ্যে চলেছে এই ট্রেনের বিভিন্ন ধরনের মহড়া। সম্প্রতি গতি পরীক্ষার একটি মহড়ায় ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটল এই ট্রেন। সে ক্ষেত্রে দেশে দ্রুততম ট্রেন হতে চলেছে এই বন্দে ভারত স্লিপারই।
রাশিয়ার বৃহত্তম রেক প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ট্রান্সমাস হোল্ডিং’ এবং ভারতের রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড–এর (আরভিএনএল) চুক্তি অনুযায়ী, রুশ প্রযুক্তিকে প্রয়োগ করে তৈরি করা হবে ১৬ কামরার ১২০টি বন্দে ভারত স্লিপার। এই প্রকল্পে একই সঙ্গে কাজ করছে ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড (বিইএমএল) এবং আরডিএসও। রেল বোর্ডের দাবি, বন্দে ভারত স্লিপারে যাত্রী পরিষেবা শুরু হলেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে। বর্তমানে গোটা দেশে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যে রেকগুলো চলছে, সেগুলো সবই ‘চেয়ার কার ওনলি’। যে কারণে ট্রেনের সময়সূচি এমন রাখা হয়েছে, যাতে ভোরে যাত্রা শুরু করার পরে ট্রেন দুপুরের মধ্যেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে কিছুক্ষণ পরে আবার যাত্রা শুরু করে রাতের মধ্যেই প্রথম জায়গায় ফিরতে পারে।