‘দলীয় সংবিধানের কোন ধারা মেনে আমায় সাসপেন্ড করা হল?’, মমতাকে চিঠি পার্থর


কলকাতা: মঙ্গলবার নিজের নাকতলার বাড়িতে ফিরেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিন বছর পর গরাদের পিছন থেকে বেরিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরছেন তিনি। আর পার্থ বাড়ি ফিরতেই একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, জেলবন্দি থাকাকালীন পার্থ একটি চিঠি লিখেছিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে জেনেছি দল আমাকে সাসপেন্ড করেছে। দলীয় সংবিধানের কোন ধারা মেনে আমায় সাসপেন্ড করা হল?’ চিঠিতে জানতে চেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। একই সঙ্গে এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছেও।

বস্তুত, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি। সেদিন গ্রেফতারের পর ইডি পার্থকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তিনি কারও সঙ্গে কথা বলতে চান কি না। পার্থ সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েছিলেন। তবে ফোনে পাননি তাঁকে। পরে পার্থ বলেছিলেন, “চেষ্টা করেছিলাম। পাইনি।” পরবর্তীতে যদিও ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন,”তল্লাশি হলে প্রথমেই ফোন নিয়ে নেয়। তাহলে ফোন করবেন কীভাবে।”

এর ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছিলেন, “সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত অনুসারে দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হল।” দল থেকে সাসপেন্ডের পর মন্ত্রিত্বও চলে যায় পার্থর। গ্রেফতারের ৬ দিনের মাথায় মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয় তাঁকে। এরপর কেটেছে অনেকগুলি বছর।

এখন আবার বাইরে পার্থ। আর তিনি বাইরে আসতেই সামনে এসেছে চিঠি। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নব্য সেনাপতি’ আখ্যা দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, তিনি এও লিখেছেন, অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্ত নেতাদের পাশেও দল দাঁড়ায়। অথচ দল তাঁর পাশে কেন দাঁড়াল না কেন?

বস্তুত, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি। সেদিন গ্রেফতারের পর ইডি পার্থকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তিনি কারও সঙ্গে কথা বলতে চান কি না। পার্থ সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েছিলেন। তবে ফোনে পাননি তাঁকে। পরে পার্থ বলেছিলেন, “চেষ্টা করেছিলাম। পাইনি।” পরবর্তীতে যদিও ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন,”তল্লাশি হলে প্রথমেই ফোন নিয়ে নেয়। তাহলে ফোন করবেন কীভাবে।”

এর ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছিলেন, “সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত অনুসারে দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হল।” দল থেকে সাসপেন্ডের পর মন্ত্রিত্বও চলে যায় পার্থর। গ্রেফতারের ৬ দিনের মাথায় মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয় তাঁকে। এরপর কেটেছে অনেকগুলি বছর।

এখন আবার বাইরে পার্থ। আর তিনি বাইরে আসতেই সামনে এসেছে চিঠি। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘নব্য সেনাপতি’ আখ্যা দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, তিনি এও লিখেছেন, অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে অভিযুক্ত নেতাদের পাশেও দল দাঁড়ায়। অথচ দল তাঁর পাশে কেন দাঁড়াল না কেন?

Post a Comment

Previous Post Next Post