তাঁর কথায়, 'এত দিন সংগ্রহ করে রেখেছিলাম বাবরি মসজিদের স্মৃতি হিসেবে। গ্রামে ফিরে সেই ইট সাদা কাপড়ে মুড়ে রাখা হয়েছিল খানপাড়া মসজিদের মধ্যে। এখন বাবরি মসজিদের স্মৃতি বিজড়িত ওই ইট মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদে দান করতে চাই।'
সে দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ আর্মি ক্যাম্পে আমাদের রাখা হয়েছিল। তখন তো মোবাইল ছিল না। ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বাবরি মসজিদের খবর পাই আমরা। পরের দিন সকালে নির্দেশ দেওয়া হয় এলাকা খালি করে দেওয়ার। সেই সময়ে যিনি আরপিএফ-এর কমান্ড্যান্ট ছিলেন, তিনি ভেঙে পড়া বাবরি মসজিদের কয়েকটি ইট ব্যাগে করে নিয়ে আসেন। তাঁর দেখাদেখি আমিও এক খণ্ড ইট তুলে ব্যাগে ভরেছিলাম।'সেই ইট নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। এর পরে গ্রামবাসীরা মিলে সিদ্ধান্ত নেন, বাবরি মসজিদের স্মৃতিজড়ানো ইট গ্রামের মসজিদে রাখা হবে। তার পর থেকে ওখানেই ছিল সেটি। সম্প্রতি ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের প্রতীকী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পরে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সেই ইট।