রাত পোহালেই এবার গণেশ চতুর্থী শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে ঘরবাড়ি সাজিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
গণেশ চতুর্থীর (Ganesha Chaturthi) উৎসব, যা বিনায়ক চতুর্থী (Vinayaka Chaturthi) নামেও পরিচিত, ভারতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি বহুল প্রতীক্ষিত অনুষ্ঠান। অনেকেই অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ১১ দিনের এই উৎসব উদযাপন করেন। গণেশের জন্মদিন উপলক্ষে এটি পালিত হয়। গণেশ চতুর্থীতে প্রত্যেক বাড়িতে গণপতিকে স্বাগত জানানো হয়। রাত পোহালেই এবার গণেশ চতুর্থী শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে ঘরবাড়ি সাজিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। আর সেটা যদি নিজের হাতে করা যায়, তাহলে গণেশ দেবতা যারপরনাই খুশি হবেন।
অন্দরসজ্জা
DIY বা ডু ইট ইয়োরসেলফ (Do It Yourself) অন্দরসজ্জা করা সহজ এবং এটি পরিবেশবান্ধবও বটে। সুতরাং, সেই চিরাচরিত ফ্রিলস এবং বেলুন দিয়ে সাজানোর পরিবর্তে, বাড়িতে কিছু তৈরি করে নেওয়া যায়। কার্ডবোর্ডের বাক্স থেকে বাড়িতে সুন্দর শৈল্পিক ম্যাকারেল তৈরি করা যায়।
পুজোর জন্য একটি সুন্দর চৌকি বা ছোট্ট মন্দির সাজানো যায়। একটি সুন্দর চৌকি বা মন্দির ছাড়া গণেশ চতুর্থীর উদযাপন অসম্পূর্ণ। চৌকি ও মন্দির নানা রঙে ও নানা ডিজাইনে পাওয়া যায়। পছন্দসই একটি সুন্দর চৌকি বা মন্দির বাড়ির পুজোর পরিবেশ আরও মনোরম এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে
রঙিন ফুল দিয়ে সাজানো যায় ঘর
রঙিন ফুল বাড়ির সাজসজ্জায় একটি প্রাণবন্ত চেহারা যোগ করবে। ফুলের গন্ধ ও সতেজতা উৎসবে উদ্দীপনা যোগ করবে। তাজা ফুল হচ্ছে এমন বস্তু যা দিয়ে নানা ডিজাইনে ঘর সাজানো যায়। প্রতিমার উপর ফুলের তোরণ রাখা যায় এবং বাকিগুলি বিগ্রহের পায়ের কাছে রাখা যেতে পারে। আবার বাড়ির প্রবেশপথে বিভিন্ন রঙের ফুলের পাপড়ি দিয়েও একটি রঙ্গোলিও তৈরি করা যায়। অনেকেই প্লাস্টিকের ফুল ব্যবহার করেন। কিন্তু সেটা পরিবেশবান্ধব নয়। এতে বেশি মাত্রায় বর্জ্য তৈরি হবে।
সুন্দর মোমবাতি, আকর্ষণীয় মঞ্চ এবং আলোর মালার ব্যবহার
গণেশ চতুর্থীতে সাজসজ্জার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল লাইট বা আলো। ঘর আলোকিত করতে মোমবাতি, প্রদীপ ব্যবহার করা যায় এবং চৌকি বা বাড়ির মন্দিরের চারপাশে সেগুলো সাজিয়ে রাখা যায়। পুজোর ঘরটি আলোর তার দিয়ে সাজিয়ে তোলা যায়, সেটি গোটা ঘরে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসবে। নানা রঙের উজ্জ্বল আলো দিলে আরও সুন্দর দেখতে লাগবে। সব মিলিয়ে করোনা অতিমারীর কালেও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে ঘর, গণপতির আগমনও সার্থক হয়ে উঠবে।