৩৪ বছর পর ২০২০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতিতে বদল আনে মোদি সরকার। প্রথম থেকেই যার বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রি-স্কুল থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সর্বস্তরেই খোলনলচে বদলে ফেলা হয়। তবে এই বিরাট রদবদল করা হয় এমন একটা সময়, যখন সংসদ বন্ধ ছিল। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, শিক্ষা কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়। তাহলে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই শিক্ষানীতি ঘোষণা করে দেওয়া হল কেন? সংসদ খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হল না কেন? মোদি সরকার অবশ্য নতুন শিক্ষানীতিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে এবার সেই শিক্ষানীতিই মেনে নিল রাজ্য।
২০২০ সালে যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি আনা হয়, তাতে একগুচ্ছ পরিবর্তন ছিল। যেখানে বলা হয়-
১. ইউজিসি, এআইসিটিই- র মতো উচ্চশিক্ষার নিয়ামক সংস্থা তুলে একটিমাত্র নিয়ামক সংস্থা হবে।
২. স্নাতক স্তরের কোর্সের মেয়াদ হবে ৪ বছর।
৩. স্নাতকোত্তর স্তরের কোর্সের মেয়াদ হবে ১ অথবা ২ বছর।
৪. পাঁচ বছর ইন্টিগ্রেটেড পদ্ধতিতেও স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করা যাবে।
৫. নতুন শিক্ষানীতিতে তুলে দেওয়া হয়েছে এম ফিল কোর্স।
৬. কলেজে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির হাতে।
৭. কলেজগুলিকে প্রশাসনিক সহ অর্থনৈতিক স্বশাসন দেওয়া হচ্ছে।
৮. একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান, কলা বিভাগের তফাৎ থাকবে না।
৯. কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেও তার সঙ্গে বাংলা, সঙ্গীতের মতো বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ থাকবে।
১০. নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ৮ টি সেমিস্টারের কথা বলা হয়েছে।
১১. পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আঞ্চলিক ভাষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
১২. প্রাক-প্রাথমিকে যোগ হবে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণী, এরপর তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণীকে রাখা হয়েছে প্রাথমিকে, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণী উচ্চ প্রাথমিক।
১৩. স্কুল শিক্ষায় ত্রি ভাষা নীতি চালু করা হবে। যেখানে আঞ্চলিক, ইংরেজি ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতকেও রাখার কথা বলা হয়েছে।