বেশিরভাগ হোটেলেই গাড়ির রেটচার্ট পৌঁছে দিয়েছে সিন্ডিকেট। ভাড়া নিতে হবে সেখান থেকেই। পর্যটকদের দাবি, হয় ঘণ্টা পিছু নতুবা কিলোমিটার পিছু ভাড়া হোক। এখানকার ভাড়ার কোনও মাথা-মুন্ডু নেই। পর্যটকরা যেতে বাধ্য, এটা ধরে নিয়েই কার্যত জুলুমবাজি চালাচ্ছে তারা। সরকারের উচিত বিষয়টি একটু দেখা। না হলে মানুষ গাড়ি ভাড়ার আতঙ্কে পাহাড়ে আসতে ভয় পাবেন।
উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের দাবি, এখানকার গাড়ির ভাড়াও কলকাতার ট্যাক্সি বা অ্যাপ ক্যাবের মতো নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। না হলে বেলাগাম গাড়িভাড়ার কারণে বহু পর্যটক মুখ ফেরাবেন পাহাড় থেকে। কারণ অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারও সারা বছর ধরে টাকা জমিয়ে বছরে একবার পাহাড় অথবা সমুদ্রে বেড়াতে যান। কিন্তু যেভাবে গাড়িভাড়া বেড়েছে, তাতে পাহাড়ে এসে তাঁদের ঘোরাটাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন এনজেপি থেকে দার্জিলিং ৩৫০০ টাকা, লাভা ৪০০০, লাভা থেকে দার্জিলিং ৪৫০০, এনজিপি থেকে সুনতালিখোলা ৩৫০০ টাকা, সুনতালিখোলা থেকে আলিপুরদুয়ার ৫০০০, লাভা থেকে রিশপ, ছাঙ্গি ফলস, চা বাগান ৪৪০০ টাকা। স্থানীয় লোকেদেরও দাবি, এত টাকা ভাড়া কিছুমাস আগেও ছিল না। তখন পর্যটকরা চালকদের সঙ্গে দরদামও করতে পারতেন। কিন্তু এখন সেসব অতীত। সিন্ডিকেটের ঠিক করে দেওয়া রেটচার্ট অনুযায়ীই দিতে হয় ভাড়া।