উত্তর থেকে দক্ষিণে ঠাসা কর্মসূচি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উত্তরবঙ্গ দিয়ে শুরু হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচার। সেখানে প্রচার শেষে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্রচারে যাবেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি প্রচারে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। 

প্রচারে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, হাতে আর মাত্র ১৫ দিন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই হাইভোল্টেজ নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে সব রাজনৈতিক দল। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রচারে নামছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। সফর শুরু হবে উত্তরবঙ্গ দিয়ে। সোমবার কোচবিহারের চান্দামারিতে জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির মাল-এও একটি সভা করার কথা তাঁর। জলপাইগুড়ির সভা করে কলকাতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহলে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী সভা করার কথা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতা ও জেলার ৫০ নেতার একটি তালিকা তৈরি করেছে তৃণমূল। এই নেতারা ইতিমধ্যেই জেলায় প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগকে লক্ষ্য করে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল। টানা দুমাস রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে নবজোয়ার যাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে সেই কর্মসূচি শেষ হয়েছে। এরপর গত ১৭ জুন কালীঘাটে তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, প্রথম সারির ৫০ জন নেতা-নেত্রী জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করবেন। ২০ জুন থেকে তাঁরা প্রচারে নামবেন বলে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। প্রচারের কৌশল হিসেবে ঠিক হয়, গ্রামে গ্রামে ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের তালিকা তুলে ধরা হবে। সেইসঙ্গে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে, তৃণমূলকে ভোট দিয়ে পঞ্চায়েতে শক্তিশালী করলে, ২০২৪ সালে দিল্লি থেকে মোদি সরকার সরাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আর এবার গ্রামবাংলার ভোটকে সামনে রেখে ময়দানে নামছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মনোনয়নপর্ব থেকেই রক্ত ঝরছে বঙ্গে চলছে গুলি। বোমাবাজি, প্রকাশ্যে দুষ্কৃতী একের পর এক খুন। আর তার ফলে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন, রাজ্যপাল থেকে আদালত এবং বিরোধীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে যখন ঝুরি ঝুরি অভিযোগ উঠছে, তখন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি রাজ্য় পুলিশের পাশেও দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এত শান্তির মধ্যে নমিনেশন জীবনে কোনও দিনও হয়নি। একসময় কলকাতা পুলিশকে স্কটল্যান্ডের ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হত, সুতরাং আমাদের পুলিশরা যথেষ্ট স্মার্ট, বেশি স্মার্টনেস না দেখায়।’’

Post a Comment

Previous Post Next Post