খবর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : বিরাট কোহলির ঘরের মাঠে খেলা। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ফিরিয়ে আনো ১৯৮৩-২০১১। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সবাই বলে যাচ্ছেন, কাপ ঘরে আনো। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সবার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন একা বিরাট কোহলি। এটা তাঁর কাছে হোমকামিং। বিরাটের জার্সি পরে ভক্তরা সমর্থন করলেন প্রিয় দলকে। প্রথমে ব্যাট করে বেশ লড়াকু রানই করল আফগানিস্তান। ৫০ ওভারের শেষে আফগানরা করল ৮ উইকেটে ২৭২ রান। তবে একটা সময় আফগানিস্তান যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে তিনশো রান হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।
সীমিত ওভারের ফরম্যাটে আফগানিস্তান যথেষ্ট লড়াকু দল। শাহিদি (৮০) এবং ওমরজাই (৬২) আফগানিস্তানকে বেশ ভালো জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেন। এঁরা দুজন আরও কিছুক্ষণ থেকে গেলে আফগানিস্তান কিন্তু আরও বেশি রান করতেই পারত। দুই ওপেনার গুরবাজ এবং জাদরান স্কোরবোর্ডে ৩২ রান তোলার পরে আউট হন জাদরান (২২)। আইপিএলে কেকেআর-এর হয়ে খেলেন গুরবাজ (২১)। বিপজ্জনক ব্যাটার তিনি। কিন্তু বেশি রান করতে পারেননি গুরবাজ। রহমত শাহও (১৬) বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেননি। শাহিদি ও ওমরজাই এই অবস্থা থেকে আফগানিস্তানের ইনিংস গড়ার কাজ করেন। ভারতীয় বোলারদের আক্রমণের রাস্তা নেন তাঁরা। শাহিদিকে ফেরান কুলদীপ। ওমরজাই বোল্ড হন পাণ্ডিয়ার বলে। বাকিরা অবশ্য বড় রান করতে পারেননি। লোয়ার অর্ডার যদি আরও একটু রান যোগ করতে পারত, তাহলে স্কোরবোর্ড আরও হৃষ্টপুষ্টই দেখাত। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে বুমরাহ ৪টি উইকেট নেন।