মা তারার মন্দিরে এসে মায়ের পুজো দেওয়ার পর স্মৃতিকে ফ্রেমবন্দি করতে চান অনেকেই। তবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে সেই ইচ্ছায় আর পূরণ হবে না দর্শনার্থীদের। তারাপীঠের তারামাতা সেবাইত সংঘ এবং মন্দির কমিটির তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে মা তারার গর্ভগৃহে ছবি তোলা এবং মায়ের সঙ্গে সেলফি তোলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়াও কোনও সহকারী পূজারী ও দর্শনার্থীরা স্মার্টফোন নিয়ে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে পারবে না ।ছবি তুলতে তুলতে কোনও পূজারী অথবা দর্শনার্থী গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমন কী গর্ভগৃহের ভিতরে অঞ্জলি দেওয়াও যাবে না।
এই বিষয়ে তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, যত দিন যাচ্ছে ততই তারাপীঠ চত্বরে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সেলফি তোলার হিড়িক। দর্শনার্থীদের যাতে লাইন দিয়ে পুজো দিতে সময় কম লাগে তার জন্য কিছু নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। মায়ের সঙ্গে ছবি তোলার পাশাপাশি মা তারাকে অঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবার থেকে মা তারাকে দর্শন করার পরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। ভক্তদের সুবিধার্থে এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে জানায় মন্দির কমিটি।
মা তারার মন্দির ও মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানক্ষেত্রের জন্য বিখ্যাত এই সিদ্ধপীঠ। মানুষের বিশ্বাস, এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান, আনন্দ ও সিদ্ধি লাভ করেন। মায়ের কাছ থেকে কেউ খালি হাতে ফেরেন না। লোকগাথা অনুযায়ী, পাল রাজত্বের সময় স্বপ্নে তারা মায়ের নির্দেশ পেয়ে শুক্ল চতুর্দশীতে শ্মশান থেকে তাঁর মূর্তি এনে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন জয় দত্ত সওদাগর। এই মন্দির ঘরে মিলে মিশে একারা ইতিহাস ও কিংবদন্তী। তারাপীঠের মা কখনও পুজিতা হন দূর্গা আবার কখনও অন্নপূর্ণা রূপে। এই দিনে মাকে কাছ থেকে দেখতে ছুটে আসেন দূরদূরান্তের ভক্তরা।