বেসরকারি বাস মালিকদের একাংশের দাবি, ১৫ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে আগামী বছর যে সব বেসরকারি বাস বাতিল হচ্ছে, কোভিড সংক্রমণের সময় প্রায় দুবছর সেই বাসগুলি চলেনি। তাই বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে সেই বাসগুলিকে কমপক্ষে আরও দুবছর সময় দেওয়া হোক। তাতে এক দিকে করোনাকালে যে আর্থিক ধাক্কা বেসরকারি পরিবহণ খেয়েছে, তার থেকে বেরিয়ে আসা যাবে। তেমনই, বিকল্প জ্বালানির যানবাহন রাস্তায় নামানোর পরিকাঠামো তৈরি করার সময়ও পাওয়া যাবে। এবং নতুন বাস নামানোর সময়ও পাওয়া যাবে হাতে।
এই সংক্রান্ত দাবি নিয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের তরফে পরিবহণ দপ্তরকে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার কোনও উত্তর পাননি বলেই জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এক সঙ্গে সরকারি এবং বেসরকারি বাস রাস্তা থেকে উঠে গেলে পরিবহণ পরিষেবা যে কতটা ভেঙে পড়তে পারে তা আমাদের সবারই ভাবা উচিত। আমি বার বার পরিবহণ দপ্তরকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছি। কোভিডের সময় দুবছর বাস চলেনি। তাই সরকার চাইলে সেই দুবছর বাড়তি সময় এই বাসের ক্ষেত্রে দিতে পারে।’’ সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘নতুন বাস কিনে তা চালানোর মতো অবস্থা এখন মালিকদের নেই। কারণ সেই টাকা ভাড়া থেকে তোলা সম্ভব নয়। সরকারের নানা নিয়ম-কানুনে পড়ে শিল্পটাই একদিন না শেষ হয়ে যায়!’’ তবে পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা জানান, এটা আদালতের নিয়ম। কোনওভাবেই তা বদল করা সম্ভব নয়।