ফের ভারতে সেরার সেরা বাংলার সম্পদ, রাজ্যের পঞ্চরত্ন পাচ্ছে জিআই তকমা


খবর বাংলা সংবাদ ডিজিটাল :- GI TaG West Bengal: বাংলার মুকুটে নয়া পালক। একটা নয়, বঙ্গের একেবারে পাঁচটি সম্পদ জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) তকমা পেতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের জিআই পোর্টালে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ওই পাঁচ সম্পদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সংশাপত্র পাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। জিআই তকমা পাচ্ছে, সুন্দরবনের মধু, গরদ, টাঙ্গাইল শাড়ি, কড়িয়াল ও জলপাইগুড়ির কালোনুনিয়া চাল।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের বন উন্নয়ন নিগমের তরফে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের কাছে সুন্দরবনের মধুর জন্য জিআই তকমার দাবি করা হয়েছিল। এর মাঝেই নজরে পড়ে পুণের একটি সংস্থা সুন্দরবনের মধুর জিআইই স্বত্ব পেতে আবেদন করেছে। এরপরই পুণের ওই সংস্থার দাবির প্রতিবাদ করে জিআই কর্তৃপক্ষের কাছে পুরো বিষয়টি জানায় রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। শেষপর্যন্ত সুন্দরবনের মধুর তকমা পায় বাংলা।

২০২২ সালে সুন্দরবনের মধু বিক্রি করে ৫০ লাখ টাকা লাভ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন উন্নয়ন নিগম। ২০২৩ সালে যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে বলে খবর। এই দুই বছরে সুন্দরবান থেকে মধু সংগ্রেহের পরিমাণ যথাক্রমে ১৬ ও ৪০ টন। বাংলার বন উন্নয়নের অধীন ২৭৩টি যৌথ বন পরিচালন কমিটির অধীন প্রায় দু’হাজার মৌউলি জীবনের ধুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করেন। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন বিভাগের থেকে মউলিরা প্রায় ১১ লাখ টাকা পেয়েছেন।

জলপাইগুড়ির সুগন্ধী কালোনুনিয়া চালকে ‘প্রিন্স অফ রাইস’ বলা হয়ে থাকে। দানের রং কালো হলেও চাল দেখতে ধবধবে সাদা। নানার ধরণের পোলাউ বানাতে কালোনুনিয়া চালের জুড়ি মেলা ভার। নাগরাকাট, ধুপগুড়ি, হলদিবাড়ি, রায়গঞ্জ এলাকাতেও এই চালের ফলন হয়। বিঘা প্রতি যেখানে অন্যসব চাল সর্বোচ্চ ১৫ মণ করে ফলে তখন কালোনুনিয়া চাল হয় মাত্র ৮ মণ করে।

অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরের কড়িয়াল শাড়ি জগৎবিখ্যাত। এছাড়া টাঙ্গাইল ও গরদ শাড়ির সুনামও দুনিয়াজোড়া। হাতে বোনা এইসব শাড়ির এক একটার দাম ৫০ হাজার টাকার আশেপাশে। কড়িয়াল শাড়ির কদরও ভালই। জিআই তকমা পেলেই তাঁতি ও এইসব শাড়ির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ভাল হতে পারে বলে আশা।

Post a Comment

Previous Post Next Post