ডাচদের কমলা ঝড় থামিয়ে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাজিমাত ইংল্যান্ডের, ফাইনালে কেনরা


খবর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : ইংল্যান্ড ফুটবল দলকে কেন এবারের ইউরোর অন্যতম দাবিদার বিবেচনা করা হচ্ছে, সেটা বেশ ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা। সেমিফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলছে ইংল্যান্ড। তবে ডাচরাও কম যায়নি। কিন্তু হলে কী হবে, শেষমেশ ইউরো সেমিতে বাজিমাত ইংল্যান্ডের, তারা জিতল ২-১ গোলে। ব্রিটিশদের ফের ফাইনালে নিয়ে গেল ওয়াটকিন্সের দুর্দান্ত গোল। রবিবার রাতে ফাইনালে তাদের সামনে স্পেন। 


ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট বুঝিয়ে দিলেন ওস্তাদের মার শেষ রাতে কীভাবে করতে হয়! তিনি দলের নেতা কেনকেও তুলে নিয়েছিলেন শেষদিকে। সেইসময় সবাই ভেবেছিলেন তিনি বুঝি টাইব্রেকারের জন্য খেলছেন। কিন্তু না তাঁর সেই বদলগুলি সোনা হয়ে ঝরেছে বাকি ম্যাচে। না হলে ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে ইংল্যান্ড কোচ বদল করলেন হ্যারি কেনের বদলে ওয়াটকিন্সকে। আর ফোডেনকে তুলে নামান পামারকে। আর সেই সোনার গোলটি এসেছে পামারের বুদ্ধিদীপ্ত পাসে ওয়াটকিন্সের দুরন্ত শটে গোল। 

ম্যাচের শুরু থেকে ইংলিশরা দাপট দেখিয়ে খেলেছেন। যদিও ম্যাচের সাত মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ডাচরাই। ডেকলাইন রাইসের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে জাভি সিমন্সের দূরপাল্লার বুলেট গতির শটে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জাতীয় দলের হয়ে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল।

 এক গোল খেয়ে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ১৩ মিনিটে হ্যারি কেনের দূরপাল্লার শট দারুণভাবে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর দারুণ শট নেন হ্যারি কেন, তবে তা চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। কিন্তু ভিএআরে দেখা যায় ডামফ্রিস ফাউল করেছেন কেনকে। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কেন। গোলরক্ষক ঠিক দিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেও জোরালো গতির শট আটকাতে পারেননি।

 ৩০ মিনিটে ডাচরাও সুযোগ পায় আবারও এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু ডামফ্রিসের হেড গোলপোস্টে প্রতিহত হয়। ৩২ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। তবে ফিল ফোডেনের বুলেট গতির শটও গোলবারে লেগে প্রতিহত হলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি তাদের।

৪০ মিনিটে আবারও ফিল ফোডেন দূরপাল্লার শট নেন। তবে এবার ডাচ গোলরক্ষক বুদ্ধিমত্তার সাথে সেটি তালুবন্দি করেন। প্রথমার্ধে ৬৩ শতাংশ বল নিজেদের দখলে নিয়ে খেলেছে ইংল্যান্ড।

বিরতির পরে একটা সময় ডাচদের কমলা ঝড়ে বিধ্বস্ত লাগছিল ব্রিটিশদের। কিন্তু কোচ সাউথগেটের কৌশল ছিল, বিপক্ষকে বুঝে আক্রমণে যাওয়া। তিনি সমানে রিজার্ভ বেঞ্চের সামনে পায়চারি করছিলেন। তিনি যে বুদ্ধিতে শান দিচ্ছিলেন, খেলা শেষে সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। সুপারসাব হিসেবে ওলি ওয়াটকিন্সের গোল ইংল্যান্ডকে টানা দুইবার ইউরোর ফাইনালে নিয়ে গেল।

আর রোলান্ড কোম্যানের কোচিংয়ে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩৬ বছর পরে ইউরো কাপ জয়ের স্বপ্ন মাটিতে মিশে গেল।  

Post a Comment

Previous Post Next Post