খবর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক : ১৪ অগস্ট, রাজ্যে পালিত হচ্ছে কন্যাশ্রী দিবস। সেই উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর একাধিক সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই অন্যতম কন্যাশ্রী প্রকল্প। রাজ্যের মেয়েদের উন্নতিকল্পে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসা পেয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে। ২০১৩ সালের ১৪ অগস্ট প্রথম বার রাজ্য সরকারের তরফে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না।
সেই মতো বেহালার কিশোর ভারতী গার্লস হাই স্কুলে পালিত হচ্ছে কন্যাশ্রী দিবস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও কলকাতা পুরসভার 14নং ব্যুরোর চেয়ারপারসন সংহিতা দাসের উদ্যোগে এবং কিশোর ভারতী গার্লস হাই স্কুলের পরিচালনায় কন্যাশ্রী দিবস অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন সংহিতা দাস, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুজয়া রায়চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিতানের ম্যানেজার সুজাতা ভট্টাচার্য, বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও শিক্ষিকা এবং বিশিষ্ট জনেরা। ছাত্রীদের নাচ গান আবৃত্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষিকা সুজয়া রায়চৌধুরী বলেন, ঝা চকচকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর পাশে সরকারি স্কুলগুলো মুহ্যমান। তাই এই ধরনের হিতকারী প্রকল্প যেন সাধারণ মানুষের কাছে আরো বেশি পৌঁছায়।
অপরদিকে মেয়েদের আইনি পরিষেবা এবং সুরক্ষা পেতে যোগাযোগের মাধ্যম হতে পারে বিতান, জানালেন ম্যানেজার সুজাতা ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, বাল্যবিবাহ রুখতে এবং মেয়েদের পড়াশোনার অগ্রগতির লক্ষ্যে স্কুলের ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পে স্কুলস্তরে একজন ছাত্রীকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ধনী, দরিদ্র নির্বিশেষে সরকারি স্কুলের সব ছাত্রীই স্কুলজীবনে একবার অর্থাৎ একাদশ শ্রেণিতে এই আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন।