এমার্জেন্সিতে ব্যাপক ভাঙচুর, থমথমে আর জি কর চত্বর, গ্রেফতার ৯, আহত পুলিশও



আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের উপর নারকীয় অত্যাচার এবং খুনের প্রতিবাদে একযোগে সরব রাজ্যবাসী। মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতে স্বাধীনতার মধ্যরাতে রাস্তায় ঢল নামল মানুষের। আর সেই মিছিল চলাকালীনই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আর জি কর চত্বর। পুলিশের সামনেই ব্যারিকেড ভেঙে ভাঙচুর চালানো হল হাসপাতালে। 

শহরের রাস্তায় মিছিল চলাকালীন আর জি করে এই হামলার ঘটনায় ন'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন মানিকতলার ওসি, ডিসি নর্থ। সবমিলিয়ে ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশের সামনে এই হামলা চলল কী করে, হামলাকালীরা কী উদ্দেশ্য নিয়ে চড়াও হয়েছিল, উঠছে প্রশ্ন। কারণ পুলিশের সামনেই ব্যারিকেড ভেঙে তাণ্ডব চালাতে দেখা যায় হামলাকারীদের। 

আর জি করের আবাসিক পড়ুয়া চিকিৎসকরা জানান, ভিড় এসে চড়াও হয় হাসপাতালে। তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। প্রমাণপত্র লোপাটের লক্ষ্য নিয়েই ভিড় চড়াও হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তাঁরা। কোনও পদক্ষেপ করা তো দূর, বরং পুলিশ নিজের পিঠ বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন পড়ুয়ারা। পুলিশ পালিয়ে বাঁচে বলে দাবি করেন তাঁরা। নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর আর্জিও জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে পৌঁছে দেখা যায়, এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে দু'টি কোলাপসিবল গেট ভেঙে ফেলা হয়েছে। হামলাকারীরা দানবীয় আক্রমণে গেট বেঙে দেন বলে জানা গিয়েছে। এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের শুরুতেই HDU ওয়ার্ড রয়েছে। পর পর শয্যা রয়েছে সেখানে। জীবনদায়ী বিভিন্ন যন্ত্রপাতি রয়েছে, যার উপর তাণ্ডব চালানো হয়।

হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, "হামলা চালাতে দেখে ভিতরে ঢুকে যাই আমরা। ১০০ থেকে ১৫০ জন হামলা চালায়। নইলে এই দরজাগুলি ভাঙতে পারে! ওরাও বলছে জাস্টিস চাই, আর ভাঙছে। হাতুড়ি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালানো। আমরা ভিতরে পালিয়ে যাই। তার পর সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যাই। আমাদেরও আগে পুলিশ পালিয়ে যায়। হামলার সময় ৫-৬ জন পুলিশ ছিলেন। তাঁরাও বাঁচতে পালিয়ে যান। সিঁড়ি টপকে টপকে ছ'তলায় উঠে যাই আমরা।"



Post a Comment

Previous Post Next Post