লাটাগুড়ি
দেখতে মন–ভালো–করা। স্বাদে একেবারে বেজোড়। মুখে দিলেই গলে যায়। চমচমের খ্যাতি জলপাইগুড়ি জেলা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বাইরের দেশেও। কিন্তু লাটাগুড়ির চমচম শুধু স্বাদে–গন্ধে নয়, চমকে দেয় তার আকারে। পেল্লাই সাইজের চমচম নিয়ে এই শীতেও মিষ্টির দোকান সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। বড়দিনের ডুয়ার্সে যা অন্যতম আকর্ষণ।
বছরের শেষ সপ্তাহ এলেই লাটাগুড়িতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এখানকার অতিকায় চমচম। একেবারে ফ্যামিলি সাইজ যাকে বলে। সেই ২০০০ সাল থেকে এখানে চমচম তৈরির শুরু। তবে তখন আকার ছিল অনেকটাই ছোট। জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক কিলো ওজনের পেল্লাই চমচম বিক্রি শুরু হয়। বড়দিনে তো এটা মাস্ট।
পর্যটকরা এলে বাড়ির জন্যও কিছুটা নিয়ে যান। সেই কারণে ফ্যামিলি সাইজের ভাবনা। দাম একেবারে কম নয়। লাটাগুড়ি নেওড়া মোড়ের মিষ্টি ব্যাবসায়ী বিজন দে বলেন, ‘৩০০, ৫০০ গ্রাম ও এক কেজি ওজনের চমচম তৈরি করি আমরা। ৩০০ গ্রামের চমচমের দাম ২০০ টাকা। ৫০০ গ্রামের জন্য ৩০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের জন্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়।’
চমচম তৈরির প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। বহু বছরের পুরোনো মিষ্টি ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘ছানার সঙ্গে কাজু–কিশমিশ ভালোভাবে মিশিয়ে চমচমের গোলা তৈরি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে সেই গোলাটিকে চিনির ঘন রসে সেদ্ধ করার পর শিরা থেকে তোলা হয়। উপরে ছড়ানো হয় কাজু–কিশমিশ–চেরি।’
কলকাতা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সপ্তর্ষি মল্লিক, পায়েল চৌধুরীরা চমচম খেয়ে খুশি। বলেন, ‘বেড়াতে এসে পেল্লাই চমচম খেলাম। নিয়েও যাব। লাটাগুড়ি খুব সুন্দর জায়গা। এর আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে এই চমচম।’ লাটাগুড়ি রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন–এর সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব জানান, ‘গত কয়েক বছর ধরে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে পেল্লাই চমচম। বড়দিনে অনেকেই কেকের পরিবর্তে এই চমচম দিয়ে বড়দিন উদযাপন করেন। চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।’